আজকালে একটু বয়স বাড়লেই দেখা দেয় পায়ের সমস্যা। আর্থারাইটিস থেকে পেশির সমস্যায় কাহিল হয়ে পড়েন অনেকেই। চিকিৎসকেরা কিন্তু বলছেন এর জন্য দায়ী খারাপ জুতো। নিম্ন মানের জুতো দীর্ঘ দিন ধরে পায়ে পরার ফলে বাড়ে নানা সমস্যা। কেমন জুতো পরা উচিত আপনার? কোন জুতো পরলে ভাল থাকে পা?
বিশেষজ্ঞদের মতে হালকা জুতো হাঁটার জন্য বেশি উপযুক্ত। এটি হাঁটার সময় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। রাবারের তৈরি জুতো ভাল। এটি ভাল গ্রিপ দেয় এবং পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। মাটিতে বা রাস্তার সঙ্গে ভালভাবে খাপ খায় এমন ননস্লিপ ডিজাইন থাকা জরুরি।
জুতোয় মিডসোল থাকাও জরুরি। এটি পায়ে শকের (ধাক্কা বা কম্পন) প্রভাব কমায় এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। ইভা (EVA) ফোম বা জেল কুশনপ্রযুক্তি যুক্ত থাকলে দীর্ঘক্ষণ হাঁটার জন্য ভালো।
জুতোয় ইনসোল থাকা দরকার। নরম কুশন থাকা উচিত, যাতে পায়ের তালুতে চাপ কম পড়ে। অর্থোপেডিক ইনসোল থাকলে পায়ের গঠন অনুযায়ী অতিরিক্ত সাপোর্ট দেয়। যাঁদের পায়ের তালুর বাঁক বেশি বা কম, তাঁদের জন্য বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্ট থাকা জরুরি। গোড়ালির জন্য ভালো সাপোর্ট থাকলে দীর্ঘক্ষণ হাঁটার সময় এটি গোড়ালি ও হাঁটুকে সুরক্ষা দেয়।
জুতোর ওপরের অংশ এমন উপাদানে তৈরি হওয়া উচিত, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। জালযুক্ত বা ক্যানভাসের তৈরি জুতো ভালো। এটি ঘাম শোষণ করে এবং পা ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে। সিনথেটিক লেদারও আরামদায়ক হতে পারে।
জুতোর হিল খুব বেশি উঁচু বা নিচু হওয়া উচিত নয়। সাধারণত শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি হিল থাকা ভালো, যা হাঁটার জন্য আরামদায়ক হয়। সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট জুতো ব্যবহার না করাই ভালো।
হাঁটার জুতোয় সাধারণত লেইস বা ভেলক্রো থাকা ভালো, যাতে এটি ভালোভাবে পায়ে ফিট হয়। সহজে খুলতে বা পরতে ভেলক্রো স্ট্র্যাপ ভালো বিকল্প হতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য।
প্লান্টার ফ্যাসাইটিস বা হিল স্পার থাকলে আর্চ সাপোর্ট ও হিল কুশনযুক্ত জুতো বেছে নেওয়া উচিত। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নরম ও সেলাইবিহীন ইনসোল থাকা উচিত, যাতে ঘর্ষণজনিত ক্ষত না হয়। ফ্ল্যাটফুট থাকলে বিশেষ ধরনের আর্চ সাপোর্টযুক্ত জুতো ব্যবহার করা উচিত।