জলপাইগুড়ি: রাতের অন্ধকারে বেপোরোয়া স্পোর্টস বাইকের দাপটের শিকার দুই আরোহী-সহ মোট চারজন। গুরুতর জখম এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই বাইক আরোহী এবং টোটো চালককে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ন'টার কিছু পরে শহরের কলেজ রোডের ওপর সৎসঙ্গ মোড়ে টোটো টিকে দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে মোটর বাইকটি। স্থানীয়দের অনুমান, সম্ভবত মোটর বাইকটির চালক ও আরোহী দুজনই মত্ত অবস্থায় ছিল। সেই থেকেই বিপত্তি। এবং তারা মারাত্মক গতিতে বেপড়োয়া ভাবে বাইক চালাচ্ছিল। এরপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এসে সরাসরি ধাক্কা মারে টোটো টিতে। সংঘর্ষে টোটোর এক্সেল ভেঙে পড়ে যায়।
এদিকে, টোটো থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন টোটো চালক সদেব রায় এবং আরোহী অর্পণ তরফদার। বাইকের দুই আরোহী সুপ্রিয় গুহ এবং তাতাই সাহাও অক্ষত ছিলেন না। জখম দুই বাইক আরোহী পুর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অন্য়দিকে, আক্রান্ত টোটো চালক ও যাত্রী অরবিন্দপল্লী এলাকায় থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দূর থেকে অনেকেই দেখেছিলেন বেপরয়ো গতিতে বাইকটি ছুটে আসছে। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই বাইকটি সামনে আসা টোটোটিকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে টোটো থেকে ছিটকে পড়ে যান যাত্রীরা। বাইকের আরোহীরাও অক্ষত ছিলেন না।
আহত টোটো যাত্রী অর্পণ তরফদার বলেন, "ধনী পরিবারের বেপরোয়া সন্তানদের জেট গতির স্পোর্টস বাইকের দাপটে রাস্তায় চলাফেরা করাই দায়। পুলিশের যদিও এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। তারা বড়লোকদের পকেটে থাকে। মাথা ফেটে বা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরতে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে।" বেপরোয়া স্পোর্টস বাইকের দাপট রুখতে এদিন দুর্ঘটনাস্থলে দীর্ঘসময় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিক।