TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury
Oct 24, 2021 | 9:56 PM
জলপাইগুড়ি: হাতির হানায় নির্মম মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার, সকাল থেকেই মাল ব্লকের নেপুছাপুর, কুমলাই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল ১৮-২০ টি হাতির একটি দল। দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলের দিকে হাতির দল কুমলাই নদীর ব্রিজ সংলগ্ন ডেমকাঝোড়া বস্তির এক চা বাগান ও বাশঝোপের এলাকায় চলে আসে।
খবর পেয়ে বনকর্মীরা হাতি তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই সময় এক উৎসুক যুবক হাতির দলের কাছে চলে যান। আচমকা এক দাঁতাল তাড়া করে এসে তাঁকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে মাটিতে পিষে মেরে ফেলে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাল ব্লকে। জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম সুশীল ওরাও (৩৪)। তাঁর বাড়ি তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেমকাঝোড়া বস্তিতে।
যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হাতির হানাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবেকের। তবে যেভাবে মুখ চোখ ফেটে গিয়েছে তাতে ময়নাতদন্তের জন্য় অপেক্ষা করতেই হবে। সোমবার মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত হবে।
হাতির হানায় হুলুস্থুল বাধে মাল ব্লকের তেসিমলা এবং কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। রবিবার ভোর থেকে শাবক সহ হাতির একটি দল সেখানে হানা দেয়। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের আওতাধীন মালবাজার বন্যপ্রাণ স্কোয়াড সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলটি গরুবাথানের ভুট্টাবাড়ি বনাঞ্চল থেকে বের হয়ে রাতে চা বাগান হয়ে চলাচল করছিল। দলটি তারঘেরা বনাঞ্চল অভিমুখে ছিল। বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের কর্মীরা হাতির দলটিকে বনে পাঠানোর চেষ্টা করে। পরে হাতির দলটি কুমলাই নদীর সেতু লাগোয়া এলাকায় আটকে পড়ে।
স্থানীয় পরিবেশ প্রেমী রমেশ মাহালী বলেন, ‘হাতির দলকে কখনই উত্যক্ত করা উচিত নয়। সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে। দলটিতে শাবক থাকার জন্য গতি কিছুটা কম ছিল।’ গ্রামবাসী ফজলুল আলম বলেন, ‘রাতে হাতির বড়ো দল এসেছিল। হাতির দল ধান খেয়ে ফেলছে। পাশাপাশি প্রচুর ধান নষ্টও হচ্ছে। এবার ধান চাষ কম হয়েছে। গ্রামবাসীদের সমস্যাও বাড়ছে। বন্যপ্রাণ বিভাগ এলাকায় টহল বাড়ালে সকলেই উপকৃত হবেন। মালবাজার বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের দীপেন সুব্বা বলেন, "আমরা এলাকায় পৌঁছে নজরদারির রেখেছি। বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে। মাল থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।"