Safest destinations 2022: ওমিক্রনের আতঙ্কে বিদেশ-ভ্রমণে বাধা! চলে যান বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ এই জায়গাগুলিতে
কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে যদি নিরাপদে একান্তে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে চান, বা কোথাও গিয়ে মন রিফ্রেশ করতে চান, তাহলে এখনও বেশ কয়েকটি হাতে গোনা জায়গা রয়েছে, সেখানে গিয়ে নিজেদের মত করে এনজয় করতে পারবেন...
করোনা অতিমারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতে ফের একটি বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। বিশ্বের জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থলগুলিতে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায় ফের লাভের মুখে দেখা শুর করেছিল পর্যটন শিল্প জড়িত বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ, ও জায়গাপুলির আর্থিক উন্নতি।
নভেম্বরের গোড়া থেকেই করোনাভাইরাস অতিমারি মধ্যেই নয়া ভেরিয়্যান্টের প্রভাব ছড়িয়ের পড়ার আশঙ্কা দেখা যায়। আর সেই আশঙ্কা সত্যি করে এখন ফের করোনার নয়া ভেরিয়্যান্ট ওমিক্রণ থাবা বসিয়েছে। ফলে আরও একবার লকডাউনের মুখোমুখি গোটা বিশ্ববাসী।
এই কঠিন ও জটিল পরিস্থিতিতে যদি নিরাপদে একান্তে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে চান, বা কোথাও গিয়ে মন রিফ্রেশ করতে চান, তাহলে এখনও বেশ কয়েকটি হাতে গোনা জায়গা রয়েছে, সেখানে গিয়ে নিজেদের মত করে এনজয় করতে পারবেন
আবু ধাবি: মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে দুবাই ও আবু ধাবি হল ২০২২ সালের মোস্ট সেফেস্ট ডেস্টিনেশন। এই দেশে করোনার প্রভাব একেবারে নেই বললে ভুল বলা হবে, তবে কড়া নিয়মের কারণে এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড- কতকটা আবু ধাবির মতই, এখানে আপনি করোনামুক্ত হিসেবে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে টিকার ডবল ডোজ থাকলে এখানে আপনি আন্তর্জাতিক ট্রাভেলার হিসেবে নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।
জামাইকা- ড্রিম ডেস্টিনেশন না হলেও এই শহরের সৌন্দর্য মালদ্বীপ বা কিউবার থেকে কোনও অংশে কম নয়। নয়া হটস্পট হিসেবে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে করোনাভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য প্রত্যেক পর্যটকরে টেস্ট হওয়ার পরই মূল আইল্যান্ডে প্রবেশ করত পারবে।
দ্য বাহমাস- সূর্যের মিঠে রোদ, সোনালি বালি, নীল সমুদ্রের হাতছানি দিচ্ছে, তাহলে এই সুন্দর গন্তব্যস্থলে না গেলে পৃথিবীর একটি অন্যতম সুন্দরতম দিক মিস করে যাবেন। তবে এই নিরাপদ জায়গায় প্রবেশ করতে গেলে করোনার সব প্রোটোকল মানতে হবে।
ফিজি- অসাধারণ সুন্দর একটি ডেস্টিনেশন। বহু ট্রাভেলারের বাকেট-লিস্ট ডেস্টিনেশন । কোভিড ১৯ টেস্টিংয়ের পরই এই দেশে প্রবেশর অনুমতি মিলবে। ভাইরাসের প্রভাব থাকলেও নিরাপদে ভ্রমণের মজা নিতে পারবেন।
নিউ জিল্য়ান্ড- ২০২০ সালে কোভিডের বাড়াবাড়ন্তের পর থেকে নিউ জিল্যান্ডে সারা বিশ্বের অধিকাংশ ভ্রমণকারী কাছে তেমন আগ্রহের গন্তব্যস্থল ছিল না। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই দেশে আন্তর্জাতিক পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে তা নিয়ে আশাবাদী সেদেশের বিশেষজ্ঞরা।
গ্রেনাডা: লেভেল ২ ক্যাটাগরি ট্রাভেল অ্যাডভাইসরির তকমা পেয়েছে। তবে অতিমারির সময় গ্রেনাডায় থাকাকালীন সকল পর্যটককে কোভিড প্রটোকল মেনে চলতে বলা হয়েছে। সিডিসি ক্যারিবিয়ান দ্বীপটিতে করোনাভাইরাসের মাঝারি প্রভাব থাকায় পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তবে কোভিড টিকা, কোয়ারেন্টাইন ও টেস্টের সব রকম ব্যবস্থার প্রয়োজনয়ীতা রয়েছে এই দেশে।