Chip War US-China: সুচের থেকেও ছোট চিপ যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে বিশ্বে, মুখোমুখি চিন-ভারত-আমেরিকা
TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়
Jan 19, 2023 | 11:40 PM
ছোট্ট একটা চিপ নিয়ে চিন-আমেরিকার যুদ্ধ বাঁধলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ঠিক সেই পরিস্থিতিতেই এবার মাঠে নামছে ভারত। চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করতে চলেছে দেশ, যার জন্য ইতিমধ্যেই 10 মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
1 / 7
ফোন থেকে শুরু করে গাড়ি বা যে কোনও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের জন্য প্রয়োজন হতে পারে চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর। সাধারণত সেই চিপ হয় সুচের থেকেও ছোট। কিন্তু ভারতের মতো দেশ যেখানে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এত উন্নতি করছে, সেখানে চিপ বানাতে পারছে না কেন? সেই চিপের ঘাটতির জন্যই ভারতে স্মার্টফোনের দাম বেড়েছে। সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ যখন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, তখন ভারতকে তার জন্য চিন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে কেন?
2 / 7
সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে প্রথমেই ঠাঁই তাইওয়ানের। তার ঠিক পরপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ভারত নেই ঠিকই। তবে বিগত কয়েক বছরে চিপমেকাররা ভারতে স্থানীয়ভাবে চিপ তৈরি করতে উৎসাহিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা ঠিক এখানেই। তাঁরা মনে করছেন, আগামী দিনে যুদ্ধ আর তেল নিয়ে হবে না বরং চিপ নিয়ে হবে।
3 / 7
সেমিকন্ডাক্টর হল ছোট্ট একটি সিলিকনের টুকরো। এটি বিদ্যুৎ পরিবাহী হিসেবে ভাল এবং খারাপ দুই-ই হতে পারে। পাশাপাশি একটা চিপ বিদ্যুতের প্রবাহও নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু আকারে ছোট্ট হলে কী হবে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের চালনা শক্তির মূল এই সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ।
4 / 7
ভারত এই মুহূ্র্তে কোনও সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরি করে না। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির ইকোসিস্টেমের উপরে জোর দিতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই এই খাতে 10 মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে কেন্দ্র। এদিকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন, বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে সেমিকন্ডাক্টরের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, এই ক্ষেত্রে ভারতের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে।
5 / 7
2030 সাল নাগাদ বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদা দ্বিগুণ হতে পারে। বর্তমানে এই ব্যবসা প্রায় 500 বিলিয়ন ডলারের। চিপ তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে টক্কর এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে, যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের। ইতিমধ্যেই চিনে তৈরি চিপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য নিষিদ্ধ করছে আমেরিকা।
6 / 7
সামরিক বাহিনীতেও চিপ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। মিসাইল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যের মতো সামরিক সক্ষমতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চাহিদা বেড়েছে। অস্ত্রগুলি স্বয়ংক্রিয় মোডে কাজ করছে। এর মধ্যে ড্রোনের বিষয়টিও উল্লেখ করা যেতে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের সময় ড্রোন যুদ্ধ নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছিল।
7 / 7
সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করার কাজ মোটেই সহজ নয়। এটি একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। একমাত্র সমস্যা হল, চিপগুলি দিন দিন ছোট এবং দ্রুততর হচ্ছে। এই কারণেই যে সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে এক্ষেত্রে কাজ করছে, পরবর্তীতে তাদের আরও সংস্থান এবং গবেষণার কাজ রয়েছে। একমাত্র তাতেই ভবিষ্যতে আরও উন্নত চিপ তৈরি করতে পারবে।