সোনু সুদ। অভিনেতার পরিচয় ছাপিয়ে করোনা কালে তিনি অধিকাংশ মানুষের কাছে ত্রাতা হয়ে উঠেছেন। এ হেন অভিনেতার আজ জন্মদিন। বহু স্ট্রাগলের পর সাফল্য এসেছে জীবনে জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক অভিনেতার লড়াইয়ের কাহিনি।
নাগপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় টিকিট ছাড়াই বাস বা ট্রেনে সফর করতেন সোনু। প্রথম মুম্বই পৌঁছনোর সময়ও ট্রেনের রিজার্ভেশন ছিল না তাঁর। অভাব দেখেছেন কাছ থেকে। তাই করোনা আতঙ্কের পর পরিযায়ী শ্রমিকদের রাস্তায় দেখে আর বসে থাকতে পারেননি। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যান।
ছোট থেকে সোনু দেখেছেন বিনা পারিশ্রমিকে শিশুদের পড়াতেন মা। আর দোকানের বাইরে লঙ্গরের ব্যবস্থা করতেন বাবা। সোনুর মা নাকি বলতেন, কাউকে সাহায্য করতে না পারলে নিজেকে কোনওদিন সফল বলা উচিত নয়। এই মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয়েছেন বলেই আজ সকলকে সাহায্য করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।
সোনুর বোন মালবিকা জানিয়েছেন, ট্রেনে টয়লেটের সামনের ছোট্ট অংশে শুয়ে সফর করতেন সোনু। বাবার পাঠানো টাকা যতটা সম্ভব বাঁচানোর চেষ্টা করতেন। কারণ বাবার পরিশ্রমের মূল্য ছোট থেকেই দিতে শিখেছিলেন অভিনেতা।
মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শুরু করেন সোনু। সে সময় মুম্বইতে এমন একটি ঘরে তিনি থাকতেন, যেখানে শোওয়ার সময় কোনও দিকে পাশ ফেরা যেত না। সোজা হয়ে শুয়ে থাকতে হত, কারণ জায়গার অভাব।
এই স্ট্রাগলের কথা নাকি বাড়ির কাউকে জানাতেন না সোনু। প্রথম ছবি মুক্তির পর বাড়ি গিয়ে বলেছিলেন, “আজ আমি ট্রেনের সিটে বসে এসেছি। খুব ভাল লাগছে।”
মুম্বই যাওয়ার পর নিজেকে নাকি এক বছর সময় দিয়েছিলেন সোনু। এক বছরের মধ্যে কাজ না করতে পারলে ভেবেছিলেন ফিরে যাবেন। কিন্তু জীবন তাঁকে ফেরায়নি। জন্মদিনে অসংখ্য অনুরাগীর শুভেচ্ছা বার্তা তারই প্রমাণ।