TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার
Sep 16, 2021 | 9:30 AM
জয়নগরের মোয়া, নামটা শুনলেই জিভে জল চলে আসে যে কোনও বাঙালির। দেশের যে কোনও প্রান্তের বাঙালি, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যাঁর নাড়ির যোগ, এক নামেই সে চিনে নিতে পারে এই মনোহরাকে। দেশ-বিদেশে রসগোল্লা প্রীতির কাছে হয়তো কিছুটা পরিচিতির সঙ্কটে ভুগতে পারে এই মোয়া। তবে একবার যে এ স্বাদ চেখে দেখেছে, তাকে আর নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। এবার সেই জয়নগরের মোয়াকে বিশেষ স্বীকৃতি দিল ভারতীয় ডাক বিভাগ। এই মোয়া নিয়ে বিশেষ খাম প্রকাশ করল তারা।
বাঙালির শীতকাল মানেই জয়নগরের মোয়া। শীতের পরশ গায়ে মেখে বাঙালির মৌতাতের অন্যতম সঙ্গী জয়নগরের মোয়া। শীত পড়বে অথচ বাঙালি জয়নগরের মোয়া খাবে না তা হতেই পারে না। এই জয়নগরের নাম ভাঙিয়ে কত জায়গায় যে মোয়া তৈরির রমরমা তার ইয়ত্তা নেই। কনকচূড় ধানের খই, নলেন গুড় আর গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরী হয় লোভনীয় মিষ্টি প্রায় ১০০ বছর ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, বহড়ু এলাকার শত শত পরিবারকে অন্ন সংস্থানের পথ দেখিয়েছে। এখন প্যাকেজিংয়েও নজর দিচ্ছে তারা। ফলে আগের তুলনায় কদরও বেড়েছে জয়নগরের মোয়ার।
এবার সেই মোয়াকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ভারতীয় ডাক বিভাগ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মুখ্য ডাকঘর বারুইপুরে জয়নগর মোয়া নির্মাণকর্মী সোসাইটির আবেদনে সাড়া দিয়ে ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে জয়নগরের মোয়ার ছবি দেওয়া বিশেষ খাম প্রকাশ করা হল।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য পোস্ট মাস্টার নীরজ কুমার, কেন্দ্রীয় কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত রফতানিকারক সংস্থা এপেডা-র আঞ্চলিক অধিকর্তা সন্দীপ সাহা, রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের আধিকারিক শিখা মাথুর কুমার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের অধ্যাপক প্রশান্ত বিশ্বাস ও মোয়া নির্মাণকারী সোসাইটির সদস্যরা।
২৫ টাকা দিয়ে মোয়ার ছবি সম্বলিত ওই খাম কেনা যাবে ডাকঘর থেকে। ২০১৫ সালে জিআই স্বীকৃতি পায় জয়নগরের মোয়া। গতবছরে সোসাইটির পক্ষ থেকে বাহারিনে ৫০০ কিলোগ্রাম মোয়া রফতানি করা হয়েছিল। এ ছাড়া ডাক বিভাগের মাধ্যমে সারা দেশে হোম ডেলিভারিও করা হয় বাংলার এই মোয়া। ভারতীয় ডাক বিভাগ চায় সারা দেশে জয়নগরের মোয়ার কদর বাড়ুক। ডাক বিভাগের এই উদ্যোগ বাড়তি উৎসাহ জোগাবে মোয়ার কারিগরদের।