Sadio Mane: সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেও মাটির মানুষ, গ্রামবাসীদের কল্যানে সাদিও মানে উৎসর্গ করেছেন নিজের জীবন
কিছু কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গেলেও মাটিতে পা রেখেই জীবনটা কাটান। সেনেগালের তারকা ফুটবলার সাদিও মানে সেই তালিকায় পড়েন। নিজের হোমটাউন ছাড়ার সময় তিনি তিনটি জিনিস প্রমিস করেছিলেন নিজেকে। কথা রেখেছেন তিনি। গ্রামবাসীদের কল্যানে আল নাসের ফুটবলার সাদিও মানে উৎসর্গ করেছেন নিজের জীবন।
1 / 8
বাম্বোলিতে বেড়ে ওঠা সাদিও মানের। সেনেগালের তারকা হয়ে ওঠার আগে সাদিও মানে নিজেকে তিনটি প্রমিস করেছিলেন। এক, কখনও মা-বাবাকে হতাশ করব না। দুই, একজন পেশাদার ফুটবল হব এবং তিন, গ্রামে ফিরে একটা স্কুল বানাব।
2 / 8
কথা রেখেছেন সাদিও মানে। বাম্বোলি ছাড়ার পর তিনি পেশাদার ফুটবলার হয়েছেন। সাউদাম্পটন, লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখে দীর্ঘদিন খেলেছেন সাদিও মানে।
3 / 8
বর্তমানে তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ক্লাব আল নাসেরের হয়ে খেলেন। এখনও অবধি ২০২৩ সাল থেকে সৌদির জনপ্রিয় ক্লাব আল নাসেরে ১৮টি ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন সাদিও মানে।
4 / 8
সেনেগালের হয়ে সাদিও মানে ১০৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তাতে তিনি করেছেন ৪১টি গোল। ছেলেবেলা থেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন মানে। কিন্তু বাবা চাইতেন না তিনি ফুটবলার হোন। মানের ৭ বছর বয়সে তাঁর বাবা মারা যান। এরপর তিনি বাম্বোলি গ্রাম থেকে পালিয়ে যান নিজের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নপূরণ করার জন্য।
5 / 8
পরবর্তীতে সাদিও মানে সবসময় পরিবারকে নিজের পাশে পেয়েছেন। তিনি সফল পেশাদার ফুটবলার হওয়ার পর বাম্বোলিতে গ্রামবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল বানিয়েছেন।
6 / 8
নিজের গ্রামের ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো পড়াশোনা করার সুযোগ পায় তাই একটি স্কুল বানিয়ে দিয়েছেন। গ্রামের ছেলেমেয়েরা যেন ফুটবল খেলে, তাই একটি স্টেডিয়ামও বানিয়ে দিয়েছেন সেনেগাল তারকা সাদিও মানে।
7 / 8
স্কুলপড়ুয়াদের পড়াশোনার সাহায্য করার জন্য তাদের ল্যাপটপও দিয়েছেন আল নাসেরের প্লেয়ার সাদিও মানে। গ্রামে যাতে ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন না হয় তাই ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করিয়েছেন।
8 / 8
নিজের গ্রামের প্রতি পরিবারকে মাসিক ৭০ মার্কিন ডলার করে অর্থ দেন সাদিও মানে। গ্রামে কোনও পোস্ট অফিস না থাকায় সকলকে অসুবিধায় পড়তে হত, তাই মানে তাঁর গ্রামে একটি পোস্ট অফিসও বানিয়ে দিয়েছেন।