যুবরাজ সিং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে একাধিক ম্যাচে ভারতকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝে বিভিন্ন ম্যাচ চলাকালীন বিরাট কষ্টে দেখা গিয়েছিল যুবরাজ সিংকে। সে বারের বিশ্বকাপে কখনও মাঠের মাঝেই বমিও করতে দেখা গিয়েছিল যুবরাজকে।
ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের ২০১১ বিশ্বকাপের বিভিন্ন ম্যাচে দৌড়াতে গিয়ে কষ্ট হত। কিন্তু তখন তিনি জানতেন না তাঁর ঠিক কী হয়েছে। সতীর্থরাও ভাবতেন শরীর খারাপ যুবির। কিন্তু তাঁর যে ক্যান্সার হয়েছিল, তা কেউই সেই সময় জানতেন না।
১২ বছর আগের বিশ্বকাপের পরই জানা গিয়েছিল, ক্যান্সার হয়েছে যুবরাজ সিংয়ের। আচমকাই ক্রিকেট জগতে নেমে আসে কালো মেঘ। ক্যান্সারের মতো রোগকে কি হারাতে পারবেন? যুবরাজের ভক্ত ও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাওয়া শুরু করে।
যুবরাজ প্রমাণ করেছিলেন, তিনি আসল ফাইটার। তাঁর ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ‘মিডিয়াস্টিনাল সেমিনোমা ক্যানসার’। এরপর শুরু হয় যুবরাজের কেমোথেরাপি।
ক্যান্সারের চিকিৎসা করানোর জন্য যুবরাজ সিং বস্টন এবং ইন্ডিয়ানাপোলিসে কেমোথেরাপির জন্য গিয়েছিলেন। কেমোথেরাপির তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পর্বের পর ২০১২ সালের মার্চে তিনি ছাড়া পান।
এপ্রিল মাসে ভারতে ফেরেন ভারতীয় তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। তাঁর লড়াকু মানসিকতা ও জেদের জেরে সে বছরই সেপ্টেম্বরে ভারতের জার্সি চাপিয়ে আবার খেলা শুরু করে দেন যুবরাজ।
পরবর্তীতে যুবরাজ সিং তাঁর ক্যান্সারের সময়কার কথা, লড়াইয়ের দিনগুলো নিজের আত্মজীবনীতে তুলে ধরেন। ক্যান্সার আক্রান্ত বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুবরাজ সিং।
ভারতের জার্সিতে ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল অবধি খেলেছেন যুবরাজ সিং। দেশের হয়ে তিন ফর্ম্যাটেই খেলেছেন যুবি। ৪০টি টেস্টে তাঁর প্রাপ্তি ১৯০০ রান ও ৯টি উইকেট। ৩০৪টি ওডিআইতে করেন ৮৭০১ রান ও নেন ১১১টি উইকেট। এবং ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তিনি, তাতে করেন ১১৭৭ রান এবং নেন ২৮টি উইকেট।