SSC Case In SC: ২৬ হাজার চাকরিহারাদের আপাতত স্বস্তি, কোন যুক্তিতে চাকরি আপাতত বহাল? সুপ্রিম এজলাসে আজ যা যা হল…

SSC Case In SC: ১০ মিনিটের বিরতি নেয় আদালত। ফের এসে বসে ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব হলে পুরো প্যানেল বাতিল নয়। বেতন ফেরতের নির্দেশের ওপরেও অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

SSC Case In SC: ২৬ হাজার চাকরিহারাদের আপাতত স্বস্তি, কোন যুক্তিতে চাকরি আপাতত বহাল? সুপ্রিম এজলাসে আজ যা যা হল...
স্বস্তি চাকরিহারাদেরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2024 | 6:24 PM

এসএসসি মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পর্ষদের তরফ থেকে গোটা প্যানেল বাতিলের বিরোধিতা করা হয়। পর্ষদ বলে, “SSC  যাঁদের সুপারিশ করে, তাঁদের আমরা নিয়োগ করি। ১৮ হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মী হাইকোর্টের নির্দেশে প্রভাবিত হয়েছেন। ৬ ভাগের ১ ভাগ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী প্রভাবিত হাইকোর্টের রায়ে। যখন যোগ্য অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব, তখন শিক্ষার স্বার্থে আলাদা করা হোক।” এতজনের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে পর্ষদ বলে, “চাকরিহারাদের মধ্যে ৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন অনেকে রয়েছেন। তাঁরা না থাকলে আমরা প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র মাস্টারমশাই কোথা থেকে পাব?” আর তারপরই পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য, “মাথা যন্ত্রণা হলে নিশ্চয় পুরো মাথা কেটে ফেলব না।”

য়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের মুখেও যে প্রশ্নে তীব্র ভর্ৎসিত হয়েছিল কমিশন, সেই একই প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টেও চাপে পড়ল কমিশন। OMR শিটের তো কোনও স্ক্যানড কপিই রাখা হয়নি। রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, “মানুষের যদি পাবলিক এম্পপ্লয়মেন্টের উপরেই প্রশ্ন উঠে যায়, আর কী পড়ে থাকে? বাবা মায়েরা আজও গর্ব করে বলেন, সন্তান সরকারি চাকরি করে। কী আর হবে, যদি সেখানেই প্রশ্ন ওঠে?”

এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফ থেকে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল, প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের বিরোধিতা করা হয়। এদিন কমিশনের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, “আমাদের কাছে যা প্রমাণ এসেছে, তাতে নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে বলা হচ্ছে।” OMR-এর স্ক্যানড কপি কেন রাখা হয়নি, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চাপের মুখে পড়ে কমিশন। দোষ স্বীকার করে কমিশন বলে, ‘আমরা কোনও কিছু থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না।’

রাজ্য সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ে সওয়াল করা শুরু করে। সুপার নিউমেরিক পোস্ট অর্থাৎ অতিরিক্ত শূন্যপদে হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করে রাজ্য। রাজ্যের বক্তব্য, যে অতিরিক্ত শূন্যপদ রাজ্যের তরফে তৈরি করা হয়েছিল, তা কেবল ‘ওয়েটিং লিস্টে’ থাকা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্যই। রাজ্যের তরফে আইনজীবী এনকে কউল আদালতে সংবিধানের ২৬৫ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেন। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে মন্ত্রিসভায় একটি আলোচনা হয়েছিল, আর সে ক্ষেত্রেই অনুমতির প্রয়োজন ছিল। বিচারব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।

নিয়োগ ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে তা বোঝাতে শীর্ষ আদালতে জোরদার সওয়াল করেন বিকাশ। তাঁর দাবি, ১০-১৫ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২২ হাজার জনের চাকরি চলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর শিটের সত্যতা অস্বীকার করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন।

শুনানির দ্বিতীয়ার্থে সওয়াল করা শুরু করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তিনি বলেন, “প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ তিনি ইন্টারভিউতে বলেছেন, তাঁকে রাজনীতিতে নামার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক।” তখন অবশ্য প্রধান বিচারপতি বলেন, “বোধ হয় আমরা মূল বিষয় থেকে সরে আসছি।”

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও রকমের নিঃশর্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া এখনও সম্ভব নয়। ১০ মিনিটের বিরতি নেয় আদালত। ফের এসে বসে ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব হলে পুরো প্যানেল বাতিল নয়। বেতন ফেরতের নির্দেশের ওপরেও অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। অর্থাৎ ২৬ হাজার চাকরি এখনই বাতিল নয়।