
শুভেন্দু অধিকারী

সতীশ সামন্ত কখনও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে বহিরাগত বলে ভাবতেন না। আর পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু কখনও সতীশ সামন্তকে অহিন্দিভাষী বলে ভাবতেন না... আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হল আমরা ভারতীয়, তারপর আমরা বাঙালি।

নন্দীগ্রামের গণ আন্দোলন কোনও একটা দলের ছিল না, কোনও একটা ব্যক্তির ছিল না। মানুষের আন্দোলন ছিল।

এই জনগণের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। কেউ বা কারও ইচ্ছায় এই সম্পর্ক ছিন্ন করা অত সোজা নয়।

শুভেন্দু অধিকারী কোনও পদের লোভ করেন না। কেউ কেউ বলেছিলেন না পদ দেখিয়ে লোক আনছে। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও আমার সভা সমিতিতে লোক আসে।

ব্যক্তি আক্রমণে আমি বিশ্বাস করি না। অনেকে আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন, বড় পদে আছেন। আপনারা বুঝতে পারবেন কিছুদিন পরে। জনগণ যখন চট ঘেরা জায়গায় গিয়ে তাঁদের আঙুলটা এমন জায়গায় টিপবে আপনাদের অবস্থাও অনিল বসু, লক্ষ্মণ শেঠ, বিনয় কোঙারদের মতো হবে।

অনেকে বলেন শুভেন্দু তুমি অকৃতদার কেন। তোমার ভাইরা তো বিয়ে করেছে। আমি বলি, আমি বর্তমান যুগের রাজনীতিবিদদের দেখে অকৃতদার নই। আমি সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা, অজয় মুখোপাধ্যায়ের জীবনী পড়ে অকৃতদার। তাঁদের লেখায় বলে গিয়েছেন, ‘দিবি যদি সবটা দে, পুরোটা দে’। সেই মন্ত্রে আমি দীক্ষিত।

নিজস্ব চিত্র।

নন্দীগ্রাম-জঙ্গলমহল নিয়ে আজ পর্যন্ত ১১ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে।