Spices for Diabetes: শুধু খাবারের ওপর নজর দিলে চলবে না, সুগার লেভেল বশে রাখতে এই ৫ মশলাও খেতে হবে
Diabetes Diet Tips: খাওয়া-দাওয়া নিয়ে খুব বেশি সচেতন থাকতে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের। কিন্তু মশলার কথা বেশিরভাগ মানুষ ভুলে যান। ভারতীয় রান্নাঘরে এমন মশলা রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস ডায়েটের কথা শুনলেই মনে হয়, অর্ধেকের বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। কিন্তু সেটা নয়। আসল বিষয় হল, এমন কোনও খাবার খাওয়া যাবে না যার গ্লাইসেমিক সূচক অনেক বেশি। কারণ ওই সব খাবারে কার্বোহাইড্রেট ও সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে।
অন্যদিকে, ডায়াবেটিস ডায়েটের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল ফাইবার। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ওটস, কিনোয়া, ফ্ল্যাক্স সিড, আপেল, লেবু, দই, তাজা শাকসবজি খাওয়ার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
খাওয়া-দাওয়া নিয়ে খুব বেশি সচেতন থাকতে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের। কিন্তু মশলার কথা বেশিরভাগ মানুষ ভুলে যান। ভারতীয় রান্নাঘরে এমন মশলা রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেগুলো কী-কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মেথি ভেষজ উপাদান রয়েছে বাঙালির রান্নাঘরে এটি মশলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। স্বাদে তেঁতো হলেও মেথির উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি মেথি ভেজানো জল পান করেন, তাহলে সুগার লেভেল নিয়ে আস ভাবতে হবে না।
দারুচিনি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য দারুণ উপযোগী। দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। গরম দুধে, ওটমিলে কিংবা প্যানকেকে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। এমনকী দারুচিনির চাও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
হলুদের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সংক্রমণ ও রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপনি গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন।
লবঙ্গ ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদনকে বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই ভাবে লবঙ্গ ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্য করে। তাছাড়া এই মশলার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
আদা না মশলা হলেও এই ভেষজ উপাদানটি সুগার রোগীদের জন্য উপযোগী। যদিও আদার গুঁড়ো মশলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। আদার চা খেলে আপনি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।