
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সবজিগুলির মধ্যে পেঁয়াজ হল এমনই একটি সবজি, যাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ। প্রাচীনকাল থেকেই পেঁয়াজকে ঔষধি হিসেবে মনে করা হয়। মাথাব্যথা, হৃদরোগ, মুখের ভিতর ঘায়ের মত রোগের চিকিত্সায় সহায়তা করে। তাহলে প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া স্বাস্থ্যকর কিনা জানুন...

পেঁয়াজের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া থায়োসালফিনেট রক্তের মধ্যে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাতে হার্ট অ্য়াটাক ও স্ট্রোকে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

২০১৯ সালের একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে নিয়মিত এলিয়াম-সমৃদ্ধি শাক-সবজি যেমন পেঁয়াজ খেলে কোলোরেক্টাল ক্য়ানসারের প্রবণতা কমে যায় প্রায় ৭৯ শতাংশ। এক কাপ কাটা পেঁয়াজ একজন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিনের ভিটামিন সি-এর প্রস্তাবিত খাবারের অন্তত ১৩.১১% প্রদান করে।

পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। প্রকৃতপক্ষে ২৫টিরও বেশি বিভিন্ন ধরণের ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এইগুলি অক্সিডেশনকে বাধা দেয়, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মত সমস্যাগুলিকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

একটি পেঁয়াজে প্রায় ২৫.৩ মিলিগ্রাম ক্য়ালসিয়াম থাকে। তাতে হাড় থাকে মজবুত। স্যালাদের সঙ্গে পেঁয়াজ যোগ করলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পেঁয়াজ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ায় এবং হাড়ের ক্ষয় কমায়।

পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন এ, সি ও কে ত্বকের পিগমেন্টশন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়া ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকেও রক্ষা করে। ভিটামিন সি থাকায় পেঁয়াজ ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান।

ডায়াবেটিস ও প্রিডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁয়াজ খাওয়া খুব উপকারী। রোজ একটি করে পেঁয়াজ খেলে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজে রয়েছে ফাইবার ও প্রিবায়োটিকের উত্স। অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়াগুলির সংখ্য়া বাড়াতে ও ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে।