TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Jun 10, 2022 | 5:08 PM
সবুজ ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য, স্বচ্ছ পরিস্কার রূপালি সৈকত, নীল গাঢ় সমুদ্রের গর্জনের মধ্যেই অলৌকিক এক ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরের আপন দেশে। স্থানীয় থেকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের জায়গা করে নিয়েছে কেরালার এই জায়গাটি। নেটদুনিয়াতেও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল গোলাপী নদী।
মাপে ছোট হলেও, গোলাপী ওয়াটার লিলিতে ভরা নদীর অত্যাশ্চর্য রূপ দেখতে সকলের পাখির চোখ কেরালার কোঝিকোডের একটি নদী। ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে সজ্জিত কেরালার এই নদীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রকৃতি এবং ভ্রমণ প্রেমীদের নিঃসন্দেহে আকর্ষণ করবে এই অপরূপ স্বর্গীয় সৌন্দর্য।
ট্যুইটারে সেই ছবিও শেয়ার করেছেন দেশের অন্যতম বিজনেস টাইকুন আনন্দ মহিন্দ্রাও। গোটা নদীতে ফুটে উঠেছে ওয়াটার লিলি। ফুলের রঙ গোলাপী ও ম্যাজেন্ডা। ফলে নদীটির রঙ পরিণত হয়েছে গোলাপী রঙে।
কেরালার এমন আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ছবি শেয়ার না করে থাকতে পারেননি আনন্দ মহিন্দ্রাও। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এই গ্রামে যে হারে ভিড় বাড়ছে, তাতে এতটুকুও আশ্চর্য হইনি। এই ছবিটি দেখেই আমি নিজেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছি। এটি এখন আমার মোবাইলের নতুন স্ক্রিনকভার বানিয়েছি। রিভার অফ হোপ বলে নামকরণও করেছি।'
গোলাপী ফুলে শুধু একটি নদীই ঢেকে দেয়নি, কোঝিকোড়ের পেরামব্রার কাছে আভালা পান্ডি গ্রামের অন্যান্য জলাশয়ও ঢেকে দিয়েছে। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকতে, বিশ্বজুড়ে পর্যটকরা ঈশ্বরের নিজের দেশে এমন দৃশ্যে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না।
সৌন্দর্যের আকর যে ফুলগুলি মানুষকে আকর্ষণ করছে, স্থানীয় ভাষায় সেই ফুলের নাম “মুলান পায়েল”। গোলাপী ফুলের নদীর ছবি ইন্টারনেটে ঝড় তুলতেই কেরালায় এখন পর্যটকদের আনাগোনা আরও বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের পর্যটন শিল্পের জন্য দারুণ খবর।
এই প্রজাতির ফুলের গাছ কেরালার বেশ কিছু অঞ্চলে মেলে কোঝিকোড় ছাড়াও কোট্টায়ামের মালারিক্কাল নামক একটি ছোট্ট গ্রামেও এমন সুন্দর ফুলের দেখা মেলে। সম্প্রতি, মালারিক্কাল গ্রামের সেই সুন্দর ফুলের শোভা নেটিজেনদের নজর কেড়েছিল।
কেরালা ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র প্রধান বিজ্ঞানী টিভি সজীব আবার জানিয়েছেন, জলায়শয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আখেরে ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রেরই। এই উদ্ভিজ ফুলের সারি জলাশয় থেকে সারা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জলাশয়গুলিতেও ছড়িয়ে পড়বে। তাতে জীববৈচিত্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। জলের মান ও অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পাবে।