Himachal Pradesh: বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে হিমাচলে! ফাল্গুনে মাসে পালিত হচ্ছে ফাগলি উৎসব
Fagli Festival: বসন্ত এসে গেছে... সবুজ কচি ঘাসের সঙ্গে হিমাচল মেতে উঠেছে উৎসবে। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে ফাগলি উৎসব। দেখুন তারই এক ঝলক...
ফাল্গুন মাসে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় ফাগলি উৎসব। হিমাচলি সংস্কৃতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই এই ফাগলি উৎসব। বসন্ত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হিমাচল জুড়ে শুরু হয়ে যায় এই উৎসব পালনের ধুম। হিমাচলি সংস্কৃতিতে এই উৎসব প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো।
ফাগুলি উৎসবে ডেভিলের মাস্ক পরে আগুন জ্বালিয়ে গ্রামবাসীরা এক সঙ্গে নাচ গান করেন। হিমালয়ের ঠান্ডায় হিমাচলি ড্রামের আওয়াজে কেঁপে ওঠে গ্রামের পর গ্রাম। ফাগুলি উৎসবের তাৎপর্য হল মন্দের ওপর ভালোর জয়।
এই উৎসব শয়তানের ওপর জয়ের আনন্দকে উপস্থাপনা করে, তাই এখানে সবাই শয়তানের মুখ আঁকা মুখোশ পরে। সেই মুখোশও তৈরি হয় হিমাচলি স্টাইলে। এছাড়াও মজার বিষয় হয় এই উৎসবে যে শয়তানের মুখোশগুলি ব্যবহার করা হয়, তা বারণকে উৎসর্গ করা হয় এবং এগুলি তৈরি করা হয় কাঠ দিয়ে।
কাঠের তৈরি মুখোশ, হিমাচলি টুপি, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, হলুদ ফুলের মালা, সব মিলিয়ে উৎসবের রঙে মেতে ওঠে সবাই। এই লুককে হিমাচলের ভাষায় বলা হয় মান্দালি।
এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে নানা রীতি ও কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। নেতিবাচক শক্তিকে দূর করার জন্য ফাগুলি উৎসবে আগুন জ্বালানো হয়। হিমাচলিরা মনে করেন, এই আগুনের মাধ্যমে তাঁদের জীবন থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায় এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।
এই উৎসবের আরেকটি তাৎপর্য রয়েছে, তা হল নতুন শস্য উঠলে তা ভগবানকে উৎসর্গ করা। এটি রীতি ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রচলিত রয়েছে। তবে ফাগুলি উৎসবে যে কাঠ পোড়ানো হয় তাকে বলা হয় সুস্কার হোরিং। এই কাঠের সঙ্গে রোস্ট করা হয় বার্লি। উৎসবের ছবি ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত।