কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। সময় থাকতে শরীরের যত্ন না নিলে, এখান থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হয়।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্ট ফুড খাওয়ার জন্য রক্তে নিশ্চুপে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এমনকী প্রতিদিন তেলযুক্ত খাবার, ভাজাভুজি খাবার খেলেও কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ে।
কিন্তু তেল ছাড়া রান্না করা সম্ভব নয়। তবে, রোজ রোজ ঘি, মাখন খেলে সমস্যা বাড়বেই। সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বরং, এমন তেল বেছে নিন যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে।
কোলেস্টেরলের রোগীরা রান্নায় তিসির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলে বেশ ভাল পরিমাণে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি আর্থ্রাইটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য ভীষণ উপযোগী অলিভ অয়েল। সবচেয়ে ভাল হয় যদি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। এই তেলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক।
কোলেস্টেরলের রোগীরা সোয়াবিনের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
এই তেলগুলো আপনি রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া স্যালাদে দিয়েও খেতে পারেন। কিন্তু যে তেলই আপনি ব্যবহার করবেন তার পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। যে কোনও তেলই অতিরিক্ত পরিমাণ কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী নয়।