Valentine’s Day: বাড়ির অমতে বিয়ের পিঁড়িতে কেউ, ভিনদেশে মন দেওয়া-নেওয়া কারও; রাজনীতিকদের প্রেম গাথা
TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র
Feb 17, 2023 | 1:35 PM
top love stories from in Indian politics: আমাদের দেশে রাজনীতিবিদ মানেই খুব গুরুগম্ভীর বিষয়। তবে রাজনীতিবিদরা কেউ প্রেম করেন না, এমন নয়। ভ্য়ালেন্টাইন্স ডে-তে জেনে নেওয়া যাক দেশের এই 'স্বভাবপ্রেমিক' রাজনীতিবিদদের ভালবাসার কাহিনি।
1 / 9
আমাদের দেশে রাজনীতিবিদ মানেই খুব গুরুগম্ভীর বিষয়। সারাদিন তাঁরা বিভিন্ন গুরুতর বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে, বসন্তের ছোঁয়া তো লেগেছিল খোদ বাবা ভোলানাথের মনেও। কাজেই রাজনীতিবিদরা কেউ প্রেম করেন না, এমন নয়। বস্তুত, ভারতের বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের ভালোবাসার কাহিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এমনকী, এক ৬৮ বছরের বয়সী নেতা প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন ২৪ বছরের ছোট সাংবাদিকের প্রেমেও। ভ্য়ালেন্টাইন্স ডে-তে জেনে নেওয়া যাক দেশের এই 'স্বভাবপ্রেমিক' রাজনীতিবিদদের ভালবাসার কাহিনি -
2 / 9
ডিম্পল যাদব এবং অখিলেশ যাদবের প্রেমের গল্প কোনও বলিউডি ফিল্মের কাহিনির থেকে কম কিছু নয়। দুই পরিবার থেকেই বাধা ছিল। ডিম্পল যাদবকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল অখিলেশ যাদবকে। মুলায়ম সিং যাদব এই সম্পর্ক মেনে না নিলেও, অমর সিং তাঁদের বিয়েতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে, এই দম্পতি বিয়ে করেছিলেন। বর্তমানে মুলায়মের মৃত্যুর পর, তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন ডিম্পল যাদবই।
3 / 9
বিয়ের আগে স্মৃতি ইরানির নাম ছিল স্মৃতি মালহোত্রা। ১৯৯৮ সালে কাজের সূত্রে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্বপ্ন নগরীতেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল জুবিন ইরানর। প্রথম দেখাতেই প্রেমের ছোঁয়া লেগেছিল দুজনের মনে। ধীরে ধীরে তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। এক সময়, প্রায় রোজই দুজনে দেখা করতে শুরু করেছিলেন। ২০০১ সালে, জুবিনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন স্মৃতি।
4 / 9
অখিলেশ যাদবের ভাই প্রতীক যাদবের প্রেমের কাহিনিও কম আকর্ষণীয় নয়। অপর্ণা যাদব ছিলেন তাঁর স্কুলের বন্ধু। এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দুজনে ই-মেইল আইডি আদান-প্রদান করেছিলেন। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল তাদের প্রেমের গল্প। ১০ বছর পর এই প্রেমের কথা জানতে পেরেছিল দুই পরিবার। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে দুজনের বিয়ে হয়। সমাজবাদী পার্টির ঘরের বউ হয়েো অপর্ণা বর্তমানে গেরুয়া শিবিরে আছেন। অন্যদিকে প্রতীক ব্যস্ত থাকেন ব্যবসা নিয়েই।
5 / 9
এক সময় ভারতীয় রাজনীতিতে সবথেকে জনপ্রিয় প্রেমের কাহিনি ছিল ইন্দিরা ও ফিরোজ গান্ধীর। ১৯৪২ সালে দুজনের বিয়ে হয়েছিল। জানা যায়, ইন্দিরার বাবা, জওহরলাল নেহরুর এই বিয়েতে মত ছিল না। তবে, মহাত্মা গান্ধীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত এই প্রেম পরিণতি পেয়েছিল।
6 / 9
গত শতাব্দীর সাতের দশকে ভারতের সবেথেকে দাপুটে এবং ক্যারিশম্যাটিক নেতা ছিলেন সঞ্জয় গান্ধী। কংগ্রেস দলের নেতা-কর্মীরা তাঁকেই ইন্দিরা গান্ধীর পরে দলের প্রধান মুখ হিসেবে দেখতেন। অন্যদিকে মানেকা গান্ধী ছিলেন মডেল। প্রথম দেখাতেই মানেকাকে মনে ধরেছিল সঞ্জয় গান্ধীর। ১৯৭৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মানেকাকে বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয়। সেই সময় মানেকার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
7 / 9
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং রবার্ট বঢরার প্রেমের গল্পও ভারতীয় রাজনীতিতে বেশ জনপ্রিয়। এক সাক্ষাত্কারে রবার্ট বঢরা জানিয়েছিলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সারল্য তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও তাঁর প্রতি সমান আগ্রহী। ১৯৯৭ সালে এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল।
8 / 9
তবে গান্ধী পরিবারের সবথেকে বিখ্যাত প্রেম কাহিনী হল রাজীব এবং সনিয়া গান্ধীর। দুজনেই প্রথম সাক্ষাতেই একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। সনিয়া গান্ধী ছিলেন এক অতি সাধারণ ইতালীয় পরিবারের মেয়ে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। রাজীবের প্রেমের টানেই ভারতে চলে এসেছিলেন সনিয়া। তারপর থেকে তিনি এখানেই থেকে গিয়েছেন।
9 / 9
২০১৩ সালে, ক্যান্সারের মৃত্যু হয়েছিল বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-এর প্রথম স্ত্রী আশার। দুজনের দুটি মেয়ে এবং একটি ছেলে রয়েছে। তারপরও, ২০১৪ সালে রাজ্যসভার টিভির অ্যাঙ্কর অমৃতা রাইয়ের প্রেমে পড়েছিলেন দিগ্বিজয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে ৪৪ বছর বয়সী অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন ৬৮ বছর বয়সী দিগ্বিজয় সিং। বিয়ের আগে থেকেই এই দুজনের প্রেমকাহিনী নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। বিয়ের আগে এবং পরে দুজনকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু, তা দুজনকে আলাদা করতে পারেনি।