বাংলায় একটা কথা আছে, স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই আজকের বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় শুরু হয়েছে রদবদল। সুস্থ শরীর ছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পালন করাও কঠিন। অন্য কোনও টোটকাতে নয়, শরীর সুস্থ রাখতে বাড়িতেই বাস্তুমতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি।
স্বাস্থ্যের জন্য সিঁড়ির প্রভাব: সিঁড়ি স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আপনার বাড়িতে একটি সিঁড়ির প্রয়োজন হয়, তাহলে মনে রাখবেন, সেটি যেন বাড়ির মধ্যিখানে না হয়। বাড়ির কেন্দ্রে একটি সিঁড়ি থাকা মানে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
শক্তির উৎস- বাড়ির মাঝখানে মানে ব্রহ্মস্থান, খালি রাখা উচিত। সেখানে কোনও ভারী আসবাবপত্র রাখা উচিত নয়। এটি শক্তির অবাধ প্রবাহের অনুমতি দেয়। অত্যধিক আসবাবপত্র শক্তির প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে। ঠিক এই কারণেই পুরনো বাড়িগুলিতে বাড়ির মাঝখানে খোলা উঠান থাকত।
মন্দির এবং উপাসনালয়- বাড়ির মধ্যে থাকা মন্দির বা পুজোর জায়গাটি স্বাস্থ্যের পজিটিভি এনার্জি প্রদান করে। আপনার বাড়িতে উপাসনার জন্য একটি জায়গা সংরক্ষণ করতে পারেন। আপনি নাস্তিক হলেও বাড়িতে অন্তত ঈশ্বরের মূর্তি বা কোনও ধর্মীয় প্রতীক থাকা উচিত।
ঘর সাজানোর সময়, আকর্ষণীয় দেখাতে ফলস সিলিং তৈরি করা হয়। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ঘরের মাঝখান দিয়ে কোনও রশ্মি না চলে যায়। কারণ এটি ইতিবাচক শক্তি এবং মনের যোগাযোগকে অবরুদ্ধ করে।
আগুন শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাই বাড়িতে আগুনের উপাদান স্থাপনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য এটি একটি নিখুঁত ভারসাম্য হতে হবে। বাস্তু অনুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিমে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করুন। রান্নাঘরে আভেনও সবসময় দক্ষিণ-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখা উচিত।
দক্ষিণ-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলায় একটি মোমবাতি জ্বালানোর অভ্যাস করুন। অন্ধকারকে আলোকিত করার অন্যতম সুন্দর উপায়।এছাড়া ঘরের ভিতর থেকে নেতিবাচক শক্তি নির্মূল করতে সাহায্য করে।
মোমবাতি সকলের বাড়িতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে, তার ঘরে একটি জ্বলন্ত মোমবাতি রাখুন।
বাড়ির প্রবেশদ্বার হল স্বাস্থ্যের একটি প্রতীক। বাড়ির যে কোনও প্রধান দরজার চারপাশে দেওয়াল যে একই উচ্চতায় থাকে। তাতে পুরো পরিবারের সদস্যের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।