TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার
Sep 17, 2022 | 5:03 PM
একটা জিলিপির ওজন ২ থেকে ৩ কিলো। বাঁকুড়ার প্রাচীন জনপদ কেঞ্জাকুড়ায় প্রতি ভাদ্রে এমন জাম্বো জিলিপি খেতে ভিড় জমান বহু মানুষ। ভাদু পুজো উপলক্ষে কেঞ্জাকুড়ার এই জিলিপি বাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টির সঙ্গে জুড়ে।
বিশাল আকারের এই জিলিপি পিস প্রতি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত হয়। পিস শুনে হালকাভাবে নিলে ভুল হবে। কারণ, এই জাম্বো জিলিপির এক একটির ওজন হয় ২ কিলো থেকে ৪ কিলো পর্যন্ত। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে ভাদু পুজো উপলক্ষে প্রতি বছর এই জিলিপি বিক্রি হয় কেঞ্জাকুড়ায়।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ভাদ্র সংক্রান্তিতে একসময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল ভাদু পুজোর। শোনা যায়, পঞ্চকোট রাজ নীলমণি সিংদেও-এর তৃতীয় কন্যা ভদ্রাবতীর অকাল মৃত্যু হয়। এরপরই রাঢ় বাংলায় ভাদু পুজোর সূচনা করে পঞ্চকোটের রাজ পরিবার। দ্বারকেশ্বর নদের তীরে থাকা বাঁকুড়ার প্রাচীন গঞ্জ কেঞ্জাকুড়ায় ভাদু পুজোর প্রচলন বহু দিনের।
ভাদ্রমাস জুড়ে ঘরে ঘরে লোকগানের মাধ্যমে ভাদুর আরাধনা চলে। ভাদ্র সংক্রান্তিতে হয় ভাদুর জাগরণ। এদিন রাতভর বাড়িতে বাড়িতে চলে হুল্লোড়, নাচগান, দেদার খাওয়া দাওয়া। একটা সময় আয়োজন উপাচারে প্রতিবেশীকে টেক্কা দেওয়ার ব্যাপারও চলত। শোনা যায়, সেই টেক্কার লড়াইয়েই ভাদুকে দেওয়া জিলিপির আকার বাড়তে শুরু করে।
জিলিপির আকারে অন্য ভাদু পুজোকে টেক্কা দিতে সকলেই বড় জিলিপির বরাত দিতে থাকেন কেঞ্জাকুড়ার মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। এভাবেই ধীরে ধীরে উত্থান ঘটে কেঞ্জাকুড়ার জাম্বো জিলিপির। রসে টইটম্বুর মুচমুচে জাম্বো জিলিপি একা খাওয়া কঠিন। অনেকেই আত্মীয়দের উপহারও দেন এই জিলিপি। জেলার বাইরে তো বটেই, পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডেও মানুষের কাছে ভাদ্র সংক্রান্তির অন্যতম আকর্ষন এই জিলিপি।