কলকাতা: সিংহভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শেয়ার বাজারে (Stock Market Investing) ট্রেডিংয়ের (Trading) সময় সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন ছোট বিনিয়োগকারীরা। ট্রেডিং থেকে ধারাবাহিকভাবে উপার্জনের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, সময় ও শৃঙ্খলার প্রয়োজন। কিন্তু, সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ছোট বিনিয়োগকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ফলে শেয়ার বাজারের (Share Market) পড়াশোনায় বিশেষ সময় দিতে পারেন না। নজর দিতে পারেন না ওঠানামায়। কিন্তু, তাঁরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থের কিছু পরিমাণ শেয়ার বাজারে খাটিয়ে তা থেকে লাভ তুলতে চান। আর এখানেই হয়ে যায় বড় ভুল।
লাভ-ক্ষতির হিসাব করার সময় ব্রোকারেজ এবং ট্যাক্সের কথা মাথায় রাখুন
ধরা যাক, আপনি ১০০ টাকায় একটি শেয়ার কিনে কয়েকদিন পরে শেয়ারটি ১১০ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে আপনি ১০ টাকা লাভ করছেন। কিন্তু, বাস্তবিকভাবে জিনিসটা এরকম নয়। প্রতিটি লেনদেনের (ক্রয়/বিক্রয়) জন্য আপনারে ব্রোকারেজ, সার্ভিস ট্যাক্স, এক্সচেঞ্জ চার্জ সহ আরও নানাবিধ ট্যাক্স দিতে হয়। সরকারকেও শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল ট্যাক্স (মুনাফার ১৫%) দিতে হয়। সাধরণভাবে লাভ বা ক্ষতির হিসাব করার সময় আমরা এই দিকগুলি বিবেচনা করি না।
পুরো লাভের টাকা জমা পড়বে না আপনার খাতায়, ক্ষতির পরিমাণও বাড়ে
ধরা যাক, আপনি একটি শেয়ার বাজার থেকে ১০০ টাকায় কিনেছেন। বিক্রি করেছেন ১১০ টাকায়। অর্থাৎ মোট লাভ ১১০ টাকা। তাহলে কী পুরো ১০ টাকাই লাভ হিসাবে আপনি পাবেন? না। সহজ হিসাবে ধরা যাক, মোট বিনিয়োগকৃত মূল্যের ১ শতাংশ ব্রোকারেজ, সার্ভিস ট্যাক্স, এক্সচেঞ্জ চার্জ হিসাবে ধরে নিচ্ছি। কেনা ও বেচা দুই ক্ষেত্রেই এই ট্যাক্সগুলি প্রযোজ্য। তাহলে ১ টাকা কেনা ও ১ টাকা বেচার জন্য মোট ২ টাকা যাচ্ছে ট্যাক্স বাবদ। পাশাপাশি শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল ট্যাক্স হিসাবে মুনাফার ১৫ শতাংশ হিসাবে যাচ্ছে ১.৫০ টাকা। তাহেল আপনার মোট ১০ টাকা লাভ থেকে বাদ যাচ্ছে ২ টাকা ও ১.৫০ টাকা। শেষ পর্যন্ত হাতে লাভের অঙ্ক বা নেট প্রোফিটের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬.৫০ টাকা। অন্যদিকে ১০০ টাকায় ১০ টাকা ক্ষতি হলে শেয়ারটি তোলার সময় আপনার হাতে ৯০ টাকা পড়ে থাকার কথা। কিন্তু, ট্যাক্সের বেড়াজালে সেক্ষেত্রেও আপনার ক্ষতি হবে ১২ টাকা।