মহাকালের প্রতীক তিনি, দেবী মহাকালী। উগ্র রূপে, অশুভ শক্তির বিনাশ করেন দেবী রণচণ্ডী। দশমহাবিদ্যার প্রথম মহাবিদ্যাও তিনিই। অনন্তের প্রতীক, সৃষ্টির থেকেও আদি যদি কিছু থেকে থাকে তা হলে তা দেবী কালিকাই। আচ্ছা কী ভাবে আবির্ভূত হলেন দেবীর মহাকাল রূপ মহাকালী? কী প্রয়োজন পড়েছিল মহাকালীর আবির্ভাবের? শ্যামাপুজোর দিন কি করলে পাওয়া যায় দেবীর আশির্বাদ? কী ভাবে ঘোরাবেন আপনার ভাগ্যের চাকা?
সৃষ্টির আদি লগ্নে যখন সংসারের পালন কর্তা ভগবান বিষ্ণু যোগনিদ্রায় আচ্ছন্ন ছিলেন, তখন বিষ্ণুর নাভিকমল থেকে জন্ম হয়েছিব বিষ্ণুর। বিষ্ণুর কানের ময়লা থেকে জন্ম হয়েছিল দুই ভয়ংকর ওষুধ মধু ও কৈটভের। জন্মের পরেই তাঁরা ব্রহ্মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। ব্রহ্মা তখন নিরুপায় হয়ে মহাকালীর স্তব করেন। ভক্তের ডাকেই আবির্ভূত হন দেবী কালিকা।
মায়ের কাছে জাত, পাত, ধর্মের কোনও বিচার নেই। যে খোলা মনে, নিঃস্বার্থ ভাবে মায়ের প্রার্থনা করেন তাঁর কাছেই ধরা দেন দেবী কালিকা। নিজের ভক্তদের রোগ, শত্রু, আর্থিক অনটনের হাত থেকে রক্ষা করেন দেবী। মনে করা হয় এই দিন এমন কিছু উপাচার আছে যা নিষ্ঠাভরে পালন করলে, খুশি হন দেবী। তাঁর কৃপা দৃষ্টি আশির্বাদ হয়ে বর্ষীত হবে আপনার এবং আপনার পরিবারের উপরে। কালী পুজোর দিন কী কী করবেন? জেনে নিন।
১। কালী পূজোর দিন সকাল থেকে সারা রাত একটা ঘি-এর প্রদীপ ঘরের ঠাকুরের আসনে জ্বালিয়ে রাখুন, খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন কোনও ভাবেই নিভে না যায়।
২। কালী পূজার দিন রাতে বাড়ির ছাদে একটি কালো পাঁচ-মুখী প্রদীপ জ্বালুন।
৩। কালী পূজার উপবাস যারা করেন, তারা পূজার পরের দিন ব্রাহ্মণ ভোজন করান, তাতে ফল খুব ভাল পাবেন।
৪। কালী ঠাকুরের মন্দিরে কিছুটা আতপ চাল, একটি গোটা নারকেল, ১০৮ টি জবা ফুলের মালা এবং কিছুটা ঘি দান করুন।
৫। কালী পূজার দিন সন্ধ্যার পর বট গাছের গোঁড়ায় তিন বার কালো তিল রাখুন। মনের আশা পূর্ণ হবে।
৬। কোনও মন্দিরে একটি খাড়া দান করুন।