রথযাত্রার সাতদিন পর ধুমধাম করে পালিত হয় উল্টোরথ যাত্রা। হিন্দু ধর্মমতে, জগতের ঈশ্বর হলেন জগন্নাথদেব। ভক্তরা তাঁর অনুগ্রহ পেলে মুক্তি লাভ করেন বলে মনে করা হয়। রথযাত্রায় নিজগৃহ থেকে মাসির বাড়ি, গুণ্ডিচা মন্দিরে যাত্রা করেন জগন্নাথ-সুভদ্রা- বলরাম। সাতদিন মাসির বাড়ি কাটিয়ে ফের নিজগৃহে ফেরেন তিন দেবদেবী। প্রথা অনুযায়ী, মাসির বাড়ি থেকে পোড়া পিঠে খেয়ে আবার রথে চড়ে বাড়ির পথে রওনা দেন জগন্নাথদেব। এই যাত্রাকে উল্টোরথ বলা হয়। উল্টোরথের মধ্য দিয়ে তিন ভাই-বোনের যাত্রা সমাপ্ত হয়।
পুরীতে রথযাত্রা উত্সবে সামিল হতে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। সনাতন ধর্মমতে, জগন্নাথ দেব হলেন জগতের অধীশ্বর, জগতের ঈশ্বর। জগন্নাথের আশীর্বাদ পেলে সেই ভক্ত পুনর্জন্মের কষ্ট ভোগ করেন না। এই বিশ্বাস রেখে রথের উপর জগন্নাথ দেবের মূর্তি রেখে রথযাত্রা পালিত হয়।এবছর রথযাত্রা পালিত হয়েছে গ ৭ জুলাই। সাতদিন পর পালিত হয় উল্টোরথ যাত্রা। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বিশেষ দিন পড়েছে আগামী ১৫ জুলাই।
রথযাত্রার আগে যেমন বিশেষ রীতিতে জগন্নাথ আরাধনা ও বেশ বদল করার নিয়ম রয়েছে, তেমনি উল্টোরথেও রয়েছে বেশ কি্ছু আচার-অনুষ্ঠান। উল্টোরথের দিন, গুণ্ডিচা দেবীর মন্দিরে জগন্না-সহ সুভদ্রা ও বলরামের ‘সুনাবেশ’ উপলক্ষ্যে বহুদা যাত্রা পালিত হবে ১৫ জুলাই, রবিবার। এরপর, উল্টোরথের দিন, সোনার গয়না পরিয়ে সুনাবেশ পালিত হবে ১৬ জুলাই। উল্টোরথ যাত্রা শেষ হলেই যে মন্দিরে প্রবেশ করেন দেবদেবীরা, তা একেবারেই নয়।মন্দিরের সামনে রথের মধ্যেই একটি গোটা দিন কাটান। সেখানে এক বিশেষ পানীয় নিবেদন করা হয়। এই প্রথাকে বলা হয় ‘অধর পানা’। এই বিশেষ আচার পালিত হবে আগামী ১৮ জুলাই। ১৯ জুলাই নিলাদ্রী বিজে পালিত হওয়ার পর রথযাত্রা সম্পূ্ণ হবে।