সামনেই সরস্বতী পুজো। পাড়ায় পাড়ায় , স্কুলে-কলেজে সরস্বতী পুজোর জন্য প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে। হাতে আর সময় নেই। ঠাকুরকে বায়না দেওয়া থেকে শুরু করে প্যান্ডেলের থিম কেমন হবে, সেই নিয়ে চলছে দারুণ তোড়জোর। একে অপরকে টেক্কা দিতে থিমের বহরও কম হয় না। গোটা বছর পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে, পরীক্ষায় দুর্দান্ত রেজাল্টের আশায় পড়ুয়ারা ঠাকুরের কাছে বই-খাতা, পেন রেখে দেওয়া রীতি। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জ্ঞান ও সঙ্গীতের দেবী হলেন সরস্বতী। প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপঞ্চমীতে পালিত হয় সরস্বতী বন্দনা। এবছর বসন্ত পঞ্চমী পালিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।এই বিশেষ উপলক্ষ্যে সরস্বতীর আরাধনা করলে ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হয় এবং জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধন, সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়। সাধারণত, সরস্বতী পুজোর দিন বেদিতে বীণাপাণির মূর্তি বা ছবি স্থাপন করা হয়। জ্য়োতিষশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্র মেনে সরস্বতী পুজোর দিন বাগদেবীর মূর্তি স্থাপন করা হলে জীবনে সৌভাগ্য ও শুভ ফল পেতে পারেন। তাই নিয়ম মেনে মূর্তি স্থাপন করার নিয়ম জেনে নেওয়া আবশ্যিক।
কোন দিকে প্রতিমা স্থাপন করবেন?
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দেবী সরস্বতীর মূর্তি স্থাপনের জন্য উত্তর দিক অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই উত্তর দিকে সরস্বতীর মূর্তি বা ছবি রাখুন। মনে করা হয়, এ দিকে মূর্তি বা ছবি স্থাপন করলে শিক্ষামূলক কাজে সাফল্য আসে ও সমস্ত কাজ কোনও বাধা ছাড়াই সম্পন্ন হয়।
প্রতিমা কোন ভঙ্গিতে থাকা উচিত
দেবী সরস্বতীর মূর্তি বা ছবি নির্বাচন করার সময় মনে রাখবেন সরস্বতীর মূর্তি যেন পদ্ম ফুলের উপর বসে থাকে। দাঁড়ানো ভঙ্গিতে সরস্বতীর মূর্তি স্থাপন করা শুভ বলে মনে করা হয় না। বাস্তু অনুসারে, সরস্বতীর মৃন্ময়ী রূপ যেন শান্ত, মৃদু, সুন্দর এবং আশীর্বাদপূর্ণ ভঙ্গিতে হওয়া উচিত। এছাড়া সরস্বতীর মূর্তি কখনও ভাঙা উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে ভাঙা মূর্তি স্থাপন করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।