আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরেই পালিত হবে ভাদ্রপদ অমাবস্যা। শুধু ভাদ্র মাসের অমাবস্যায় নয়, এদিন পালিত হবে কৌশিকী অমাবস্যাও। বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে এদিন ধুমধাম করে কারা মায়ের বিশেষ আচার মেনে পুজো করা হয়। কথিত আছে, ভাদ্র মাসের অমাবস্যায় কুশ সংগ্রহ করার জন্য এই অমাবস্যার নাম হয়েছে কৌশি অমাবস্যা। মনে করা হয়, এই সময় শ্রীহরি নিদ্রায় শয়ন করেন। তাই এই সময় কুশ কাটা নিষিদ্ধ, তবে সামনেই রয়েছে মহালয়া। সেইসময় কুশের প্রয়োজন হয় সবচেয়ে বেশি। এই অমাবস্যায় কুশ কাটার শাস্ত্রবিধান দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনেকে মনে করেন, ভাদ্র মাসের এই অমাবস্যাতেই তারা মায়ের আবির্ভাব হয়েছিল। সে তথ্য ভুল। কার্তিক মাসের অমাবস্যাতেই তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি।
হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে, এ বছর ভাদ্র মাসের অমাবস্যা পড়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। সমাপ্ত হবে ১৪ সেপ্টেম্বরে। কথিত আছে, এই অমাবস্যা তিথিতে কুশ ঘাসের পাতা ছেঁড়া উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয়, এই অমাবস্যায় যদি কুশ বাড়িতে নিয়ে আসেন, তাহলে সব কাজেই সাফল্য মেলে। কুশের প্রতিকারে মিলবে সিদ্ধিলাভও। কুশের প্রতিকার কীভাবে করবেন, কোন কোন কাজে কুশ ব্বহার করবেন, তা জেনে নিন এখানে…
– অমাবস্যা তিথি পূর্বপুরুষদের স্মরণ করার তিথি, এ দিনে কেনাকাটা করা ও কোনও শুভ কাজ করা নিষেধ, তবে ভাদ্রপদ অমাবস্যার দিন কুশ ঘাস বাড়িতে আনা অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক বলে বিবেচিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই কুশ ব্যবহারে করা সমস্ত ধর্মীয় কাজ কখনও শেষ না হওয়া পুণ্য দেয়।
– মহাভারতের কাহিনি অনুসারে, গরুড়দেব যখন স্বর্গ থেকে অমৃত পাত্রটি নিয়ে এসেছিলেন, তখন তিনি সেই পাত্রটি কিছু সময়ের জন্য কুশের উপর রেখেছিলেন। কুশের উপর অমৃতের পাত্র রাখার কারণে কুশ পবিত্র বলে বিবেচিত হতে থাকে।