ভাই-বোনের অপার ভালবাসার প্রতীক হিসেবে হিন্দু ধর্মে ভাইফোঁটাকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। দূর্গাপুজোর পরই যে ভাইফোঁটর তিথি পড়ে, তাতেই অধিকাংশ বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে থাকেন। তবে অনেকেই জানেন না যে বছরে একবার নয়, দুবার ভাইফোঁটা পালন করা হয়। চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে ভাইফোঁটা বা ভ্রাতিদ্বিতীয়ার নিয়ম মেনে চলা হয়। এইদিনে বোনেরা ভাই বা দাদার কপালে ফোঁটা দিয়ে সুরক্ষার ধাগা বেঁধে দেন। সেই সঙ্গে পরিবারের সুস্থতা, ভাইয়ের সুস্থ থাকা. জীবনে উন্নতি ঘটে, সুখ ও শান্তি বজায় থাকে, সেই প্রার্থনা করেন দিদি-বোনেরা।
মনে করা হয়, এই রীতি মেনে চললে ভাই ও বোনের মধ্যে স্নেহ ও ভালবাসা জন্মায়। এবছর রঙিন উত্সবের পরেরদিনই পালিত হবে ভাই দুজ উত্সব। পঞ্চাং অনুসারে চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে পালিত হয়। অন্যদিকে, ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বছর হোলি ভাই দুজ পালিত হবে ৯ মার্চ, বৃহস্পতিবার।
ভাই ফোঁটার শুভ মুহূর্ত
ভাইদুজের তিথি শুরু হচ্ছে – ৮ মার্চ, সন্ধ্যেবেলায় ৭টা ৪২ মিনিট থেকে
শেষ হবে – ৯ মার্চ , রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে
ভাইকে তিলক লাগানোর সময় – বেলা ১২.৩১ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত
তাত্পর্য
মনে করা হয়, ভাইয়ের কপাল ফোঁটা বা তিলক লাগিয়ে দিলে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। ভাই বা দাদা থাকলে এদিনতাদের হাতে সুরক্ষকবচ বেঁধে দিন আদরের বোনেরা। দীর্ঘায়ু ও সুখী জীবনের রসদ তৈরি হয় এই পবিত্র সম্পর্কে। পাশাপাশি ভাইয়ের বা দাদার জীবন যেন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ও সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পায়, তারও প্রার্থনা করেন বোনেরা।
পদ্ধতি
এদিন প্রথমে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে চাঁদ দেখুন। এরপর স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরুন। গঙ্গা স্নান করতে পারলে ভাল হয়। এরপর একটি থালিতে ভাই ফোঁটার জন্য সাজিয়ে তুলুন। শুকনো নারকেলস মিষ্টি, চন্দন রাখতে পারেন। এবার ভাই বা দাদকে উত্তর-পূর্ব দিক করে বসিয়ে চন্দনের ফোঁটা দিন। পাশে জ্বালিয়ে রাখুন একটি ঘিয়ের প্রদীপ। ফোঁটা দেওয়া হয়ে গেলে নারকেলের কুচি দিয়ে ভাইয়ের মিষ্টিমুখ করান। তাতে ভাই ও বোনের মতো পবিত্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।