হিন্দু ধর্মে হোলি উৎসবকে অত্যন্ত শুভ এবং উপকারী বলে মনে করা হয়। প্রতি বছরের মতো ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হবে। বিশ্বাস করা হয় যে হোলির দিন কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যে কোনও ব্যক্তির জীবনে সুখ ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে, পাশাপাশি জীবেনর নানা ঝামেলাও দূর হয়। অশুভের উপর শুভর জয় হিসাবে পালিত এই উৎসবের দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করা খুবই শুভ। উপকারী প্রতিকারগুলি কী কী, তা জেনে নিতে হবে। যদি বিবাহিত জীবনে কোনও ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন বা আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক তবে হোলির রাতে একটি পাতে একটি সাদা কাপড় বিছিয়ে দিন যার উপর ডাল, ছোলা, গম ইত্যাদি দিয়ে নবগ্রহ তৈরি করুন। এরপর সেগুলি দিয়ে এই গ্রহগুলির পূজা করুন। বিশ্বাস করা হয় যে এমনটা করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ বজায় থাকে।
হোলির দিনে সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা বিশেষ উপকারী বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে সমস্ত ভক্তরা হোলিকা দহনের রাতে আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে গণেশ-লক্ষ্মীর আরাধনা করেন, তাহলে সমস্ত আর্থিক কষ্ট দূর হয়, সেই সঙ্গে জীবনে আসে সুখ-সমৃদ্ধি।
হোলিকার ভস্ম দিয়ে প্রতিকার করাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, হোলিকার ভস্ম একটি কাপড়ে মুড়িয়ে রাখুন, সেটি বাড়ির প্রতিটি কোণে ছিটিয়ে দিন। এর জেরে ঘরের সমস্ত নেগেটিভ শক্তি দূর হয় ও ঘরের পরিবেশ সুন্দর ও মনোরম থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, হোলির দিনে ভগবান শিবের পুজোও শুভ বলে মনে করা হয়। শিবলিঙ্গে হোলিকার ভস্ম নিবেদন করলে তার বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়াও জলে হোলিকার ভস্ম মিশিয়ে স্নান করাও শুভ।
হোলির দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভগবান শিব ও পার্বতীর মূর্তি বা ছবিতে রঙ করুন। পরে একই রং মিশিয়ে হোলি খেলুন। বিশ্বাস করা হয় যে এমনটা করলে আপনি যেমন সুখকর ফল পাবেন তেমনি দাম্পত্য জীবনে সুখ আসবে।
ঘরে যদি সবসময় আর্থিক সমস্যা থাকে বা ঋণের বোঝায় নাজেহাল হয়ে থাকেন, তাহলে হোলির দিন কর্পূরে কিছু গোলাপ পাতা জ্বালিয়ে সারা ঘরে ঘোরান। এরপর হোলিকার আগুনে তার ভস্ম নিবেদন করুন। এতে করে আপনার আর্থিক সমস্যা দূর হবে।