সৌভাগ্য ও ঐশ্বর্য হাসিল করতে দীপাবলির রাতে কালীপুজোর পাশাপাশি লক্ষ্মী ও গণেশপুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এদিন অনেকেই অলক্ষ্মীকে তাড়াতে ঘরে রীতি মেনে লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করে থাকেন। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীর পাশে অবশ্যই রাখেন গণপতির মূর্তি। বর্তমানে অগাধ ধনসম্পত্তির মালিক হতে কে না চায়? জীবনে কখনও অর্থের অভাব হবে না, কখনও খাদ্য ও আশ্রয়ের কষ্ট বুঝতে হবে না, এমন ভাগ্য নিয়ে কজন এই পৃথিবীতে আসেন? প্রবাদ রয়েছে, টাকা ছাড়া সবকিছই অকেজো। টানা না থাকলে সবই অন্ধকার। ভাগ্য জুটবে না কোনও কিছুই। তাই আর্থিক কষ্ট না থাকলে জীবনের স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। দীপাবলিতে গণপতির সঙ্গে সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ পূজার প্রথা রয়েছে। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে হলে দীপাবলির দিন বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চললে আপনার জীবনে ঘটতে পারে মির্যাকল।
লক্ষ্মীদেবীকে তুষ্ট করার বিশেষ উপায়
১. দীপাবলির দিন অশোক গাছের শিকড়ের কাছে বিশেষ পুজো করতে পারেন। তাতে ঘরে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
২. দীপাবলির দিন পুজো করার পরে, শঙ্খ ও ডমরু বাজালে ঘর থেকে চিরতরে দারিদ্র্য দূর হয়। ঘরে লক্ষ্মীর প্রবেশে আগমন ঘটতে থাকে।
৩. দীপাবলির দিন, বাজার থেকে একটি নতুন ঝাড়ু কিননে পুজোর জায়গা বা ঠাকুরঘরের জায়গা পরিষ্কার করতে হবে। তারপর সেই ঝাড়ু এমন জায়গায় রেখে দিন, যাতে বাইরের কেউ দেখতে না পান। পরের দিন থেকে ঘর পরিষ্কারের কাজে একই ঝাড়ু ব্যবহার করুন। এতে দারিদ্র্য দূর হবে। দেবী লক্ষ্মীর আগমন তো ঘটবেই, ঘরে বাঁধাও পড়ে যেতে পারে।
৪. দীপাবলিতে, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারকে তাজা ফুল দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি, পরিবারের পূর্বপুরুষদের ছবিতে ফুলের মালা দিন।
৫. দীপাবলির দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্য ১১জন দুঃস্থকে অন্ন দান করলে ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকে। এমনটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে শুধুমাত্র একজন গরিবকে পেট ভরে খাওয়ান। সুফল পাবেন হাতে নাতে।
6. দীপাবলির দিন শ্রী হনুমান জির মন্দিরে লাল পতাকা অর্পণ করলে পরিবারে সমৃদ্ধির পাশাপাশি খ্যাতি ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়।