হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে, শ্রাবণ মাস ও মলমাস বর্তমানে একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে। তাই বছরের এই সময়টি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। শ্রাবণ মাসে যেমন শিবের আরাধনা করা হয়, তেমনি মলমাসে বিষ্ণুদেবের পুজো করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই শিবের সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে মলমাস। শেষ হবে আগামী ১৮ অগস্ট। হিন্দুদের মতে, মলমাস যে কোনও শুভ কাজের জন্য অশুভ। তবে শাস্ত্র অনুসারে, এই সময় লক্ষ্মীর বিশেষ আরাধনা করলে ফল মেলে হাতে নাতে। লক্ষ্মীর অফুরন্ত আশীর্বাদ পাওয়া যায় এই সময়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার, আগামী ১৮ জুলাই থেকে অধিক মাস শুরু হয়েছে। এই মাস ১৬ অগস্ট পর্যন্ত চলবে। এই মাসে বেশ কিছু প্রতিকার বা উপায় মেনে চললে তুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী। লক্ষ্মীর আশীর্বাদে ঘরে বজায় থাকে সুখ-সমৃদ্ধি ও অর্থলাভ। শুধু তাই নয়, এই গোটা মাসে রয়েছে একাদশী, যার গুরুত্ব রয়েছে অনেক। কথিত আছে যে, মলমাস ৩ বছরে একবার আসে। রয়েছে একদশী উপবাসও।
মলমাসে একাদশীর দিন অশ্বত্থ গাছে জল ও দুধ নিবেদন করুন। সন্ধ্যেয় প্রদীপ জ্বালিয়ে এই মন্ত্রটি জপ করলে শ্রী হরি-সহ দেবী লক্ষ্মী লাভ হয়। মন্ত্রটি হল: বহুতো ব্রহ্মরূপায় মধ্যতো বিষ্ণুরুপিনে।
কথিত আছে যে, অধিকমাসে এই প্রতিকার অর্থের অভাব দূর করে। এর সঙ্গে, ব্যক্তি অর্থ পায় ও ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। পূর্বপুরুষের আশীর্বাদে ভক্তরা জীবনে অনেক উন্নতি করেন।
বিশ্বাস করা হয় যে এই মাসে তীর্থ স্নান করলে মানুষ স্বাস্থ্য ও অমৃত লাভ করে। সেই সঙ্গে মলমাসের অবশিষ্ট দিনগুলিতে তীর্থস্থানে পবিত্র নদীতে স্নান করলে মোক্ষ লাভ হবে।
যদি আপনার বাড়িতে ঝামেলা হয়, পরিবারের সুখ-শান্তি ইত্যাদির উপর কারো নজর পড়ে থাকে, তাহলে মলমাসের মন্দিরে গিয়ে পতাকা দান করলে উপকার হয়। এর সঙ্গে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করুন। এতে মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক কষ্ট দূর হয়।
কথিত আছে যে এই মাসে খাদ্য, অর্থ, বস্ত্র ইত্যাদি দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি অন্তহীন পুণ্য ফল দেয়। শুধু তাই নয়, দুঃখ ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়।