Vaastu Tips: কিছুতেই পড়াশোনায় মন বসে না সন্তানের? দেখুন তো বেডরুম বা স্টাডি রুমে এই সব ছবি আছে কিনা?
Vaastu Solutions: অনেক বাবা-মায়ের অভিযোগ তাঁদের সন্তান পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—ডিজিটাল বিভ্রান্তি, মানসিক চাপ কিংবা স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘরের পরিবেশও সন্তানের পড়াশোনার আগ্রহ এবং একাগ্রতার গভীর উপর প্রভাব ফেলে।

অনেক বাবা-মায়ের অভিযোগ তাঁদের সন্তান পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে—ডিজিটাল বিভ্রান্তি, মানসিক চাপ কিংবা স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘরের পরিবেশও সন্তানের পড়াশোনার আগ্রহ এবং একাগ্রতার গভীর উপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে পড়ার ঘর বা বেডরুমে কোন ছবি রয়েছে তা বড় প্রভাব ফেলে সন্তানের পড়াশোনাতেও। বাস্তুমতে কোন ছবি রাখা উচিত? কোন ছবি রাখা উচিত নয়?
বাস্তুমতে কোন ছবি রাখা উচিত?
১. দেবী সরস্বতীর ছবি – বিদ্যার দেবী সরস্বতীর ছবি বা মূর্তি পড়ার ঘরে রাখা অত্যন্ত শুভ বলে ধরা হয়। সাদা পোশাকে, হাতে বীণা বাজানো অবস্থায় দেবী সরস্বতীর ছবি রাখলে শিশুর মধ্যে জ্ঞানলাভের আগ্রহ ও মনোযোগ বাড়ে।
২. সূর্যের ছবি – সূর্য শক্তি, আলো এবং ইতিবাচকতার প্রতীক। পড়াশোনার জায়গায় সূর্যের ছবি রাখলে মানসিক জড়তা দূর হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ জাগে।
৩. প্রাকৃতিক দৃশ্য – সবুজ বন, শান্ত নদী, পাহাড় বা সূর্যোদয়ের ছবি শিশুর মনে প্রশান্তি আনে। এই ধরনের ছবি মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে স্থির করে, ফলে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ে।
৪. প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বের ছবি – বিখ্যাত বিজ্ঞানী, শিক্ষক বা মহান চিন্তাবিদদের ছবি শিশুদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগায়। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসু, এপিজে আব্দুল কালামের ছবি রাখলে সন্তান পড়াশোনায় উৎসাহ পেতে পারে। এটি কেবল বাস্তু নয় এর নেপথ্যে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও।
কোন ছবি রাখা উচিত নয়?
১. যুদ্ধ বা হিংসার ছবি – যুদ্ধ, লড়াই, আগুন বা রক্তপাতের ছবি শিশুর মনে অজান্তেই ভয় বা অস্থিরতা তৈরি করে। এগুলো পড়াশোনায় মনোযোগ কমিয়ে দেয়।
২. অশুভ প্রাণীর ছবি – পেঁচা, সাপ, শেয়াল বা বন্য জন্তুর ছবি পড়ার ঘরে রাখা উচিত নয়। এগুলো নেতিবাচক শক্তি আনতে পারে এবং মনের একাগ্রতা নষ্ট করে।
৩. কান্না বা দুঃখী মুখের ছবি – কান্না, হতাশা বা দুঃখ প্রকাশ করছে এমন কোনো ছবি বা শিল্পকর্ম পড়াশোনার ঘরে একেবারেই রাখা উচিত নয়। এগুলো শিশুর মনে নেতিবাচকতা আনে এবং আনন্দময় পরিবেশ নষ্ট করে।
৪. এলোমেলো বা বিমূর্ত ছবি – যে ছবি বোঝা কঠিন, জটিল বা অস্থিরতাপূর্ণ, তা শিশুদের মন বিভ্রান্ত করে। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
