Cremation rules: কুসংস্কার নয়, রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও! দাহ করার পর কোন কাজগুলি ভুলেও করবেন না?
Hinduism: শেষকৃত্যের সৎকার সংক্রান্ত এই নিয়মগুলি কেন পালন করা হয়, এই নিয়মগুলির পিছনে কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস বা কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে কি না তাও বুঝতে পারবেন এই প্রতিবেদনের মাধ্য়মে।

বর্তমানে অনেক রীতি-রেওয়াজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে। শুভ কাজের যেমন বেশ কিছু নির্দিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে, শেষকৃত্যের সময় ও পরেও রয়েছে কিছু রীতি। গরুড় পুরাণে মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন নিয়ম ও রীতির কথা বর্ণিত রয়েছে। মৃত্যুর পর আত্মার গতিপ্রকৃতি কেমন হয় তারও উল্লেখ রয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, শ্মশান বা শেষকৃত্য পরে কী কী করা উচিত ও কী করা উচিত নয় তাও বলা হয়েছে। এর কারণ হল একজন ব্যক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পর এবং সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটলে আত্মা সেই দেহ ছেড়ে চলে যায়। পরমাত্মার সঙ্গে মিশে যায়। ফলে জীব জগতের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। শেষকৃত্যের সৎকার সংক্রান্ত এই নিয়মগুলি কেন পালন করা হয়, এই নিয়মগুলির পিছনে কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস বা কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে কি না তাও বুঝতে পারবেন এই প্রতিবেদনের মাধ্য়মে।
পরিজনের মৃত্যুর পর সাদা কাপড় পরার নিয়ম কেন রয়েছে?
হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী, দাহ শেষে, শ্মশান থেকে বের হওয়ার পর সাদা পোশাক বা কাছা পরেন পরিজনরা। এই সাদা পোশাক পরার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। সাধারণত সাদা রং পবিত্রতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। শান্তি ও পরিচ্ছন্নতার প্রতীক বলেও মনে করা হয়। এই রঙ নেতিবাচক শক্তি দূরে রাখে ও ইতিবাচক শক্তিকে শক্তিশালী করে তোলে। মানুষ যখন কারওর দাহ করতে শ্মশান থেকে ফেরেন বা শ্মশানে যান, তখন সাদা পোশাক পরে সেখানে যাওয়া উচিত।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের পর ফিরে তাকাবেন না
গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, অন্তিম সংস্কার নিয়ম ও আত্মার পরকাল সম্পর্কে বিশদ বিবরণ রয়েছে। এই পুরাণ মতে, কোনও ব্যক্তির শেষকৃত্য থেকে ফিরে আসার সময় ভুল করেও পিছনে ফিরে তাকাবেন না। এতে করে মৃত ব্যক্তির আত্মার ওই ব্যক্তির জন্য মন খারাপ হয়ে যায়। আত্মা মনে করতে পারে, তাঁর মৃত্যুতে ওই ব্যক্তি শোকাতুর। ফলে সেই আত্মা শান্তি পায় না ও ঘরে ফিরে আসতে চায়।
শ্মশান থেকে ফিরে কী কাজ করবেন
ধর্মীয় পণ্ডিতদের মতে, একজন ব্যক্তি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বা শ্মশানে যোগদানের পরে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই স্নান করা উচিত। পাশাপাশি, দাহ করার সময় সমস্ত কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর পুরো ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ হল শ্মশানে অনেক ধরনের নেতিবাচক শক্তি বাস করে ও এই নেতিবাচক শক্তিগুলি কাপড়ের মাধ্যমে ঘরে প্রবেশ করতে পারে। স্নান করার পরেও যদি গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া হয়., তাহলে নেতিবাচক শক্তিগুলি আর ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।
কোন কাজ করলে আত্মা খুব খুশি হয়
গরুড় পুরাণ অনুসারে, যে বাড়িতে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, সেই বাড়িতে মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য ১২ দিন একটানা প্রদীপ জ্বালানো উচিত। পাশাপাশি পিতৃপক্ষেও পিন্ডদান করতে হবে। এতে আত্মা সন্তুষ্ট হয়ে শান্তি পায়।
