হিন্দু ধর্মের অসংখ্য দেব দেবী ও পৌরাণিক চরিত্র দের মধ্যে এক রহস্যময় ও ব্যতিক্রমী চরিত্র দেবর্ষি নারদ। হিন্দু ধর্মের অসংখ্য দেব দেবী ও পৌরাণিক চরিত্র দের মধ্যে এক রহস্যময় ও ব্যতিক্রমী চরিত্র দেবর্ষি নারদ। দেব লোক থেকে জমলোক সব স্থানে তিনি সমান জনপ্রিয় । কিন্তু তিনি দেবতা হিসেবে পূজিত হন না। সম্ভাষণে নারায়ণ, সম্মতিতে নারায়ণ, বিদায়বেলাতেও নারায়ণ। নারদের ব্যাপারে সবচেয়ে প্রচলিত চিহ্নটি হল মুখে সর্বদা ‘নারায়ণ নারায়ণ’ জপ। নারদ বিষ্ণুভক্তির শক্তিমান পরাকাষ্ঠা। নারদের ভক্তির ব্যাপারে একটি গল্প প্রচলিত আছে।
সৃষ্টির একদম আদি লগ্নে সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মা প্রজাপতিদের সৃষ্টি করেন সৃষ্টি কার্যে তাকে সাহায্য করার জন্য । এই প্রজাপতিরাই মানবজাতির আদিপিতা। ব্রহ্মার মন থেকে এদের সৃষ্টি তাই এদের ব্রম্হার মানসপুত্র বলাহয়, মনুস্মৃতি তে এদের উল্লেখ আছে । এঁরা হলেন মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরস, পুলস্ত, পুলহ, ক্রতুজ, বশিষ্ঠ, প্রচেতস বা দক্ষ, ভৃগু ও নারদ। এই ভাবে মহর্ষি নারদ এর জন্ম হয় একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে। কিন্তু ঈশ্বর সাধনা ও ভগবৎপ্রাপ্তিতে বিঘ্ন সৃষ্টির আশঙ্কায় তিনি তাতে রাজি না হওয়ায়, ব্রহ্মার অভিশাপে নারদকে গন্ধর্ব ও মানবযোনিতে জন্মগ্রহণ করতে হয়েছিল।
নারদের বাহন ঢেঁকী, এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত, কিন্তু শাস্ত্রে তার বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায় না। এই প্রবাদের মূলে কোন সত্য আছে কি না, তা নির্ণয় করা কঠিন। তবে তার যে চিত্র পুরানে বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে তার বাহন সমেত তিনি স্বমহিমায় বিরাজমান। এই বাহন এ চড়েই তাকে এক লোক থেকে আরেক লোকে ছুটে বেড়াতে দেখাযায় সর্বদা। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে- ব্রহ্মার মানসপুত্র নারদ একজন ত্রিকালজ্ঞ, বেদজ্ঞ ও তপস্বী|তার বৈরাজ্ঞ ও জ্ঞানের জন্য তিনি দেবর্ষি উপাধিতে ভূষিত। তার নামের ও একটা অর্থ আছে নার শব্দের অর্থ জল। ইনি সবসময় তর্পণের জন্য জলদান করতেন বলে এঁর নাম হয় নারদ।