বাস্তু শাস্ত্রের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে আমাদের জীবনের। জীবনে চলা পথে নানা ধরনের বাধা-বিপত্তি আসে। তবে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য সবার কাম্য। কিন্তু সবসময় তা একসঙ্গে পাওয়া হয়ে ওঠে না। আর আমাদের জীবনের অন্যতম ভিত্তি হল সম্পর্ক। কিন্তু নানা কারণে প্রেম জীবনেও দেখা দেয় সমস্যা। এর পিছনে দায়ী হতে পারে বাস্তু দোষ। দাম্পত্য জীবন এবং প্রেম জীবনকে সুখের করে তুলতে আপনি সাহায্য নিতে পারেন ফেংশুইয়ের। এই ক্ষেত্রে আপনি মেনে চলতে পারেন বেশ কিছু ফেংশুইয়ের টোটকা। ফেংশুই শাস্ত্রে এমন বেশ কিছু উপায়ের কথা উল্লেখ রয়েছে যা মেনে চললে জীবনে ফিরে পেতে পারেন ভালবাসা ও শান্তি।
ফেংশুই শাস্ত্রের মতে, ভালবাসার রঙ হল লাল ও গোলাপি। বাড়িতে এই দুই রঙের অস্তিত্ব দাম্পত্য জীবনে সুখ বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি পরিবারের মধ্যে থাকা সদস্যদের মধ্যেও ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু তা বলে, বাড়ির সব ক’টা দেওয়ালে লাল রঙ করাবেন না। এতে লাল রঙের আধিক্য বেড়ে যাবে যা রাগ বা উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে। প্রয়োজনে আপনি বাড়ির দক্ষিণ দেওয়ালে লাল রঙ করাতে পারেন। ফেংশুইয়ের মতে, বাড়ির দক্ষিণ দিকটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধুমাত্র বাড়ির দক্ষিণ দেওয়ালে লাল রঙ করাতে পারেন। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়।
ফেংশুইয়ে সুগন্ধ একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফেংশুই শাস্ত্রের মতে, বাড়ির অন্দরে সুগন্ধ পজ়িটিভিটি বাড়িয়ে তোলে। একই প্রভাব দেখা যায় প্রেম জীবনেও। সুগন্ধ মনকে হালকা করে তোলে এবং ফ্রেশনেস বজায় রাখে। ফেংশুইতে অ্যারোমাথেরাপির বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে অ্যারোমাথেরাপির রুম-ফ্রেশনার কিংবা ধূপ ব্যবহার করতে পারেন।
ঘর জুড়ে আসবাবপত্র? এখনই সরিয়ে ফেলুন। ফেংশুইয়ের মতে, ঘরে যদি প্রচুর পরিমাণে আসবাবপত্র থাকে তাহলে নেতিবাচকতা জন্ম নেয়। ঘরে যত কম আসবাবপত্র রাখবেন, সম্পর্ক তত বেশি উন্নত হবে। একই ভাবে, বিছানায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বালিশ রাখবেন না। এতেও জন্ম নেয় নেতিবাচকতা। বাড়িকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, গুছিয়ে রাখতে ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়।
ঘর সাজানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের আর্ট ওয়ার্ক, শো পিস সাজিয়ে রাখেন। ফেংশুইয়ের মতে, কোনও ঘর সাজানোর জিনিস একটা রাখবেন না। সবসময় জোড়ায়-জোড়ায় এই ধরনের জিনিস রাখবেন। পাশাপাশি শোয়ার ঘরে কখনওই ঝরনা, নদী, পুকুরের ছবি রাখবেন না।