ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে সারা দেশে হোলি (Holi 2023) বা দোল উত্সব পালন করা হয়। এদিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে একে অপরকে রঙে রাঙিয়ে দেওয়া, আবির মাখিয়ে দেন। শাস্ত্রমতে, হোলির দিন ভগবান বিষ্ণু, শ্রীকৃষ্ণ, রাধা, লক্ষ্মীর মতো দেবদেবীকে (Hindu Gods) ভক্তিভরে পুজো করা হয়। তার পাশাপাশি তাদেরও আবির-রঙ (Gulal And Colours) দিয়ে পুজো করা হয়। সেই সঙ্গে মেনে চলা হয় জরুরি বাস্তু নিয়ম। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, হোলির দিনে কিছু টোটকা মেনে চললে সারা বছর সুখে-শান্তিতে জীবন কাটানো সম্ভব হয়। এবছর হোলিকা দহন পালিত হবে আগামী ৭ মার্চ ও হোলি বা দোল খেলা হবে পরের দিন ৮ মার্চ। হোলির দিনে কোনও বাস্তু প্রতিকারগুলি আপনার জন্য শুভ হবে, তা জেনে নিন এখানে…
আলপনা দিন
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িরে প্রবেশপথে, মূল দরজা বা উঠোনের মাঝে রঙ্গোলি বা আলপনা দিতে পারেন। লাল, হলুদ, গোলাপীর মতো উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করতে পারেন। আসলে এই রঙগুলি হলে সুখ ও শান্তির প্রতীক। এমনটা করলে ঘরের পরিবেশ পজিটিভ থাকে ও লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
বৃক্ষরোপন
বাড়ির বাস্তুদোষ কাটাতে ও ঘরের পজিটিভ শক্তি বৃদ্ধি করতে হোলির দিন বাডির ভিতরে ও বাইরে সবুজ গাছ-গাছালি লাগাতে পারেন। এতে করে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
গণেশকে অন্ন অর্পন করুন
হোলির দিনে গণেশের পুজো করার পাশাপাশি, আবির দিয়ে সাজিয়ে দিন। এর পাশাপাশি গণপতিকে মোদক বা অন্যান্য মিষ্টি নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন।
পতাকা
বাড়ির ছাদে বালাজি, রাম বা অন্য কোনও পতাকা রেখে থাকে তাহলে হোলির দিন তা বদলে ফেলতে পারেন। হোলির দিন নতুন পতাকা লাগানো বা পরিবর্তন করা শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন ছাদে পতাকা উত্তোলন করলে সুখ-সমৃদ্ধি হু হু করে বৃদ্ধি পাবে।