Anant Chaturdashi 2021: ১০ দিন গণেশ উত্‍সবের পর অনন্ত চতুর্দশী, শুভক্ষণ ও এই তিথির গুরুত্ব জানুন..

অনন্ত চতুর্দশীর দিন গণেশ বিসর্জনের একটি পৌরাণিক কাহিনি জুড়ে রয়েছে। পুরাণ মতে, গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে মহর্ষি বেদব্যাস গণেশকে মহাভারতের কাহিনি শোনানো শুরু করেন।

Anant Chaturdashi 2021: ১০ দিন গণেশ উত্‍সবের পর অনন্ত চতুর্দশী,  শুভক্ষণ ও এই তিথির গুরুত্ব জানুন..
গণেশ বিসর্জন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 6:24 AM

হিন্দু ক্যালেন্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন হল অনন্ত চতুর্দশী। ভগবান বিষ্ণু ও ভগবান গণেশ উভয়েই পারস্পরিকভাবে যুক্ত। গনশ চতুর্থীর ১০ দিন পালন করা এই ব্রত। এই গুরুত্বপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হয় মহারাষ্ট্রে গণেশোত্‍সব। এই পবিত্র দিনটি মহাবিশ্বের রক্ষক ভগবান বিষ্ণুকেও উত্‍সর্গ করা হয়েছে। ভগবান অনন্ত, তাই তিনি বিষ্ণুর অন্যতম অবতার। তাঁর আরাধনা করলে এই দিনটি শুভ বলে মনে করা হয়।

প্রতি বছর অনন্ত চতুর্দশী তিথিতে ১০ দিনব্যাপী গণেশোৎসবের পর গণেশ প্রতিমার বিসর্জন করা হয়। চলতি বছরে, গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের গণেশোত্সব সারা দেশে উদযাপিত হয় এবং এটি হিন্দুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে এবং ভারতজুড়ে জাঁকজমকপূর্ণ উদযাপনের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। বুদ্ধি ও সমৃদ্ধির দেবতা গণেশের জন্মদিবস হিসেবে গণেশ চতুর্থী উৎসব শুরু হয়। এই ১০ দিন ধরে ভক্তরা বাড়িতে গণেশের মূর্তি নিয়ে আসে এবং বিসর্জন পর্যন্ত তাঁর পূজা করেন। উৎসব শেষ হলে, ধুমধাম করে জলাশয়ে মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের মাধ্যমে নিজের বাড়িতেই ফিরে যাওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

অনন্ত চতুর্দশী এবং গণেশ বিসর্জন:

অনন্ত চতুর্দশী গণেশ বিসর্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। গণেশ বিসর্জন ছাড়াও, অনন্ত চতুর্দশী ভগবান বিষ্ণুর আরাধনার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর ভক্তরা পুজোর সময় দিনব্যাপী উপবাস পালন করেন এবং পবিত্র সুতো বাঁধেন। গণেশ চতুর্থীতে শুরু হওয়া গণেশোৎসব অনন্ত চতুর্দশীতে শেষ হয়। তাই উৎসবের শেষ দিনটি গণেশ বিসর্জন নামে পরিচিত।

অনন্ত চতুর্দশী তিথি:

১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা ৮মিনিট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ৫টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত বিসর্জনের শুভ সময়। তবে শুভ মুহূর্তের সূচনা হবে ১৯ সেপ্টেন্বর সকাল ৫.৫৪ মিনিট থেকে দুপুর ১২.৩২ মিনিটে সমাপ্ত হবে।

পৌরাণিক ইতিহাস

অনন্ত চতুর্দশীর দিন গণেশ বিসর্জনের একটি পৌরাণিক কাহিনি জুড়ে রয়েছে। পুরাণ মতে, গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে মহর্ষি বেদব্যাস গণেশকে মহাভারতের কাহিনি শোনানো শুরু করেন।টানা ১০ দিন পর্যন্ত বেদব্যাস চোখ বন্ধ করে গণেশকে মহাভারতের কাহিনি শোনান। অন্যদিকে মহর্ষির কথামতো বিশ্রাম না-করেই গণেশ মহাভারত লিখতে থাকেন। অবশেষে ১০ দিন পর কাহিনি শেষ হলে বেদব্যাস চোখ খুলে দেখেন লাগাতার ১০দিন ধরে লেখার কারণে গণেশের গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। সে সময় গণেশের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করার জন্য তাঁকে পুকুরের জলে স্নান করান। তারপর গণপতির তাপমাত্রা স্বাভাবিকে ফিরে পান। প্রসঙ্গত যেদিন গণেশকে পুকুরে স্নান করানো হয়, সেটি ছিল অনন্ত চতুর্দশী। আর সেই কারণে এই তিথিতে গণেশ মূর্তি বিসর্জন করা হয়।

আরও পড়ুন:  Ganesh Chaturthi 2021: গণেশকে ২১টি মোদক ভোগ হিসেবে অর্পন করা হয়, কেন জানেন?