Lord Ganesh: অষ্টবিনায়কের আরও একটি অবতার বাকি! কবে কোথায় জন্ম নেবেন গণেশের এই অবতার?
Ganesh Puja 2023: বিষ্ণুদেবের দশম অবতার কল্কিরূপে আবির্ভূত হওয়ার কথা যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনি গণেশ পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে কলিযুগের অবতারের কথা। ধরিত্রীতে পাপ ও সঙ্কট মোচন করতে মর্ত্যবাসীকে পথের দিশা দেখাবে গণেশেরই এক অবতার।
হিন্দু ধর্মমতে, তিনযুগের অবসানের পর চতুর্যুগ হল শেষ যুগ। বর্তমান সময়কে কলিযুগের সময় বলা হয়। পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, কৃষ্ণের তিরোভাবের মাধ্যমে দ্বাপর যুগের সমাপ্তি ঘটেঠে, তারপরই সূচনা হয়েছে কলিযুগের। বিষ্ণুদেবের দশম অবতার কল্কিরূপে আবির্ভূত হওয়ার কথা যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনি গণেশ পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে কলিযুগের অবতারের কথা। ধরিত্রীতে পাপ ও সঙ্কট মোচন করতে মর্ত্যবাসীকে পথের দিশা দেখাবে গণেশেরই এক অবতার। আর সেই অবতারের নাম কী হবে, কোথায় হবে তাঁর জন্ম, সবটাই উল্লেখ রয়েছে গণেশ পুরাণে।
গণেশ পুরাণে বলা হয়েছে যে যখন ব্রাহ্মণদের মন বেদ অধ্যয়ন থেকে আগ্রহ ও পাঠ করার প্রবণতা কমে যাবে, অন্য কোনও কাজে বেশি জড়িয়ে পড়বেন, তপস্যা, যজ্ঞ, শুভ অনুষ্ঠান করা বন্ধ করে দেবেন, বৃষ্টির অভাবে পৃথিবীতে হাহাকার ও খরা দেখা দেবে, প্রাচীন কালের মতো নদীর তীরেই ফের শুরু হবে কৃষিকাজ, ঠিক সেই সময় গণেশের কলিযুগের অবতারের জন্ম হবে।
গণেশ পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, লোভের বশবর্তী হয়ে মানুষ একে অপরকে মানুষ হিসেবেই গণ্য করবে না, প্রতারণার পর প্রতারণা করতে দ্বিধাবোধ হবে না, ধর্মনিষ্ঠ ও পণ্ডিতরা লোভ দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের সহজ পন্থা অবলম্বন করতে শুরু করবেন, মূর্খ হয়ে থাকলেও নিজেদের কখনও ক্ষতি হবে না, শুধু তাই নয়, যা কিছু কাছে থাকবে, সেগুলিও নিজের কাছ থেকে হারিয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতেও গণেশের নয়া অবতারের জন্ম হতে পারে। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও একাধিক মহিলার সঙ্গে পরকীয়া ও নারীদের প্রতি কুদৃষ্টি আরোপ করবে, শক্তিশালী ও ধনীরা যথন দুর্বল ও গরিব মানুষকে হেনস্থা করবে, সেই অন্যায়কে পরাস্ত করতে গণেশের নয়া অবতারের আবির্ভূত হবে।
গণেশ পুরাণে বলা হয়েছে, কলিযুগে অনেকে ধর্মের পথ ছেড়ে অধর্মের পথে যাত্রা শুরু করবে অথবা লোভের বশে দেবতাদের বদলে অসুর শক্তির পুজো শুরু করবে। ভালো কাজ ছেড়ে পেট ও মন ভরানোর জন্য শুধুই লোভ ও বিপথে গিয়ে অর্থ উপার্জন করবে, সেই অশুভ লক্ষণকে দূর করতে আবির্ভূত হবেন সিদ্ধিদাতার কলিযুগ অবতার।
গণেশ পুরাণ মতে, কলিযুগে, যখন বৈশ্য সম্প্রদায়ের মানুষরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জনের পরিবর্তে বাজে ও উগ্র আচরণের মাধ্যমে সম্পদ সংগ্রহ করতে শুরু করবে, স্বামী সেবা ও ভক্তির পরিবর্তে অধর্মের পথ অবলম্বন করবে, যদি পিতামাতা ও শিক্ষক, বিজ্ঞজনদের অপমান করতে শুরু করে, পৃথিবীতে এসে এই ধরনের অশুভ শক্তি দূর করার জন্য অবতার হিসেবে জন্মগ্রহণ করবেন।
গণেশের অবতার
ভগবান গণেশও ধর্ম রক্ষার জন্য সময়ে সময়ে অষ্ট অবতার গ্রহণ করেছিলেন। তাই তাঁকে অষ্টবিনায়ক বলা হয়। তবে এখনও একটি অবতার হিসেবে জন্মগ্রহণ করা বাকি রয়েছে। কলিযুগে গণেশের অবতারের নাম হবে ‘ধূম্রকেতু’। কলিযুগে সমাজে ছড়িয়ে থাকা অশুভ শক্তি, পাপ মোচন করার জন্য মর্ত্যবাসীর সদ্বুদ্ধি দিতে গজাজন এই অবতারে আবির্ভূত হবেন। এই ভবিষ্যদ্বাণীর কথা উল্লেখ রয়েছে গণেশ পুরাণেই।