হোলির মত রঙিন উত্সব শুধু দেশেই নয় , সারা বিশ্বই এই উত্সবের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে। রঙিন দিনটিকে ঘিরে সারা দিন ধরে চলে সুস্বাদু সব খাবার, নাচ-গান-হৈ-হুল্লোর ও মজা। হিন্দুদের কাছে হোলির উত্সব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম উত্সব। অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ যা কিছু, তাই জয়ের ইঙ্গিত রয়েছে এই উত্সবের মূল ধারায়।
হোলির আগের দিন রাতে হোলিকা দহন পালন করা হয়। তার জন্য বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এই উত্সবকে ঘিরে সুস্বাদু-সব খাবার যেমন গুজিয়া, দই বড়া, ঠান্ডাই, রসমালাই, মালপোয়া তৈরি করে। নতুন জামাকাপড় কেনা, ঘর পরিস্কার করা , রঙ্গোলি ও প্রদীপ দিয়ে ঘর সাজানো এইগুলিও করা হয়ে থাকে।
সাধারণত ময়দা বা রঙিন গুঁড়ো দিয়ে তৈরি সুন্দর এবং রঙিন নকশাকে রঙ্গোলি বলা হয়। দীপাবলির সময় ঘরের প্রাঙ্গনে ও দেবতার কাছে এই রঙ্গোলি করার রেওয়াজ রয়েছে। তবে এই রঙ্গোলিকে বাংলায় আবার বলে আলপনা। আবার অন্যান্য রাজ্যে একে অ্যারিপোমা এবং কোলাম বলা হয়। বিভিন্ন ও সুন্দর সুন্দর সব ডিজাইন করে রঙেরে উত্সবকে আরও রঙিন করে তোলে। নানান রঙ দিয়ে অপূর্ব সব নকসা দিয়ে ঘর সাজানো, এদেশে শতাব্দী ধরে ব্যবহার করে আসছে। হিন্দু মতে, রঙ্গোলি অত্যন্ত শুভ। মন্দকে দূর করে বাড়িতে লক্ষ্মীর অধিষ্ঠানের জন্য স্বাগত জানানো হয়।
গোটা দেশজুড়েই অনেক উত্তেজনা ও উত্সাহের সঙ্গে হোলি পালিত হয়। এই দিন সকলে মিলে রঙ-বোঝাই পিচকারি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে রঙ নিয়ে খেলা করে। উৎসবটি অশুভকে হারিয়ে শুভর আগমনের জন্য পালিত হয়। রঙিন উৎসবটি সারাদেশে আনন্দ ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়। পৌরাণিক কাহিনি মতে, প্রহ্লাদ যেমন ভগবান বিষ্ণুর সাহায্যে তার দৈত্য পিতাকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন ঠিক তেমনই মন্দ যা কিছু তার উপরে মঙ্গল সর্বদাই জয়লাভ করে, তারই প্রতীক হিসেবে এই উৎসব উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: