বাস্তু অনুসারে, আমাদের সকলের বাড়িতেই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকেই। যেগুলিকে বাস্তু দোষ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এই ত্রুটিগুলির কারণে, গৃহস্থে প্রায়শই বিরোধ ওঅশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেই অশান্তি বেশ কিছুদিন ধরেই বিরাজ করে পরিবারের মধ্যে। বাস্তুদোষের কারণে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যেও চিড় ধরে। তৈরি হয় বিচ্ছেদের আশঙ্কাও। এইসবের পিছনেই রয়েছে বাস্তুদোষ। ঘরের মধ্যেই রয়েছে সেইসব দোষ-ত্রুটি। সেগুলিকে চিহ্নিত করে দূরে সরিয়ে ফেললেই স্বাভাবিক জীবন।াপন করতে পারবনে আপনি। সেই ত্রুটিগুলি কী কী , তা জেনে নিন এখানে…
– বাড়ির দেওয়ালে পেইন্টিং করবেন তো বটেই। কিন্তু তার উপর কোনও ছবি এবং প্রতিমা আটকানো উচিত নয়। এটি একটি ভয়ানক বাস্তু ত্রুটি। বাড়িতে ভগবানের মূর্তি রাখলে খুব বড় মূর্তি রাখবেন না। বাড়িতে শুধুমাত্র ১ থেকে ১১ আঙ্গুল পর্যন্ত প্রতিমা রাখলে তা শুভ বলে মনে করা হয়।
– বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকের অংশ উঁচু করা উচিত নয়। এছাড়াও, কোনও অবস্থাতেই এই দিকে টয়লেট তৈরি করা করবেন না। এ কারণে বিপুল অর্থের ক্ষতি হতে পারে। পরিবারে খারাপ ঘটনা ঘটতে পারে। এই দিকে একটি মন্দির থাকা শুভ বলে মনে করা হয়। যদি থাকার জন্য একটি রুম তৈরি করা হয় তবে উত্তর পূর্বের রুম কখনই ভাড়া দেওয়া উচিত নয়।
– ঘরের দরজা বাইরে খোলা কখনও শুভ হতে পারে না। দরজা সবসময় ভিতরের দিকে খোলা উচিত। এছাড়াও, দরজা খোলা এবং বন্ধ করার সময় শব্দ করা উচিত নয়। এই ছোট ও সাধারণ দোষের কারণে আতঙ্ক ও মানসিক কষ্ট হয়। সংসারের মাথা যিনি, তিনি খুব কষ্টে থাকেন তাতে।
– মৌমাছির মৌচাক বাড়িতে রাখা উচিত নয়। বাস্তুবিজ্ঞান অনুসারে এর কারণে বাস্তুদোষ ৬ মাস থাকে। যেখানে বাদুড় ঘরে ঢোকার পর ১৫ দিন পর্যন্ত বাস্তুর ত্রুটি থাকে। এ ক্ষেত্রে ঘর পরিষ্কার করতে হবে। শকুন ও কাকের ঘরে প্রবেশ করা শুভ বলে মনে করা হয় না।
– রান্নাঘর কখনই এমন জায়গায় হওয়া উচিত নয় যেখানে দরজার সামনে থেকে গ্য়াস বা আভেন দেখা যায়। রান্না করার সময় গৃহিণীর পূর্বমুখী হওয়া খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে পরিবারের কেউ অসসুস্থ হোন না। রাতে খাবার তৈরির পর আভেন ও আভেন যেখানে রয়েছে, সেই জায়গা পরিষ্কার করতে হবে। রাতে অবশিষ্ট পাত্রগুলো সিঙ্কে ফেলে রাখা উচিত নয়।