হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জ্যোষ্ঠ ভ্রাতা বলরামজির জন্মদিন পালন করা হয়। এই দিনে বলরামজীর জন্ম হয়েছিল। সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনায় মায়েরা এই উপবাস পালন করেন। পুত্র সন্তানদের দীর্ঘায়ু ও সমৃদ্ধির জন্য ষষ্ঠী উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। বিশেষ করে হাল ষষ্ঠীর ব্রতের উপবাস মায়েরা তাদের ছেলেদের জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকেন। হালষষ্ঠী উপবাসে পালনের ব্রত গ্রহণ করেন। বলরাম জয়ন্তীতে লাঙ্গলের পুজো করা হয়ষ বিকেলে পলাস, কংস ও কুচের নিচে শিব. পার্বতী, স্বামী কার্তিকেয় ও গণেশের মূর্তি স্থাপন করে ধূপ. প্রদীপ, ফুল ইত্যাদি দিয়ে পুজো করা হয়।
কী কী জিনিস দান করবেন
মহুয়া, পসাই ধান, ছোলা, ভুট্টা, জোয়ার, সয়াবিন ও ধান এবং মহিষের দুধ ও গোবর ইত্যাদি হালছাট পূজায় বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হাল ষষ্ঠীর দিন মহুয়া, বরইয়ের ডাল, কাঁসাস ফুল দিয়ে বাড়ি ও উঠোনে হালছট স্থাপন করে শ্রদ্ধার সঙ্গে পূজা করা হয়। সাতগজরার তেল, চুড়ি, কাজল, কাঠের কাকাই, বাঁশের লাঠি, আয়না, ছোট দুল, নারকেল, কলা, শসা ইত্যাদি দান করা হয়।
হালাষ্টিতে কী কী করবেন
– এদিন উপবাস পালনকারী মহিলারা মহুয়ার দাতুন করবেন।
– হালষ্টির উপবাসে খাবার তৈরির সময় মহুয়া গাছের কাঠ চামচ হিসেবে ব্যবহার করুন।
– মহুয়া গাছের পাতা দিয়ে তৈরি হালষ্টিতে ফল খেতে হবে।
– হালষ্টির দিনে লাঙল করা কোনও খাদ্যদ্রব্য ব্যবহার করা হয় না।
– ফল তৈরিতে পাঁচ রকমের চাল, ছয় রকমের সবজি, মহিষের দুধ, দই ও ঘি, রক সল্ট ব্যবহার করুন।
– এই দিনে আপনার শিশু এবং প্রাণীদের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। তাদের পছন্দের জিনিস খেতে দিন।
হালষ্টিতে কী কী করবেন না-এ
– এদিনে ভুল করেও মাঠে বা লাঙল জমিতে পা রাখবেন না।
– হালষ্টির দিনে চাষ করা শস্য, ফলমূল ও শাক-সবজি ব্যবহার করবেন না। যারা উপবাস রাখেন না তাদেরও এই দিনে ব্যবহার করা উচিত নয়।
– হালষ্টির দিনে তামসিক খাবার এবং পেঁয়াজ ও রসুন থেকে দূরে থাকুন। রান্না করেও খাবেন না।
– এই দিনে উপবাস পালনকারী মহিলারা গরুর দুধ, দই এবং ঘি ব্যবহার করবেন না। এই দিনে দুগ্ধজাত কিছু না খাওয়াই উত্তম।
– শিশু ও বড়দের সম্মান করুন এবং ভুল করেও মিথ্যা বলবেন না।