হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, এ বছর দুদিন ধরে পালিত হতে চলেছে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বরে। নিয়ম অনুযায়ী, এদিন বাল গোপালকে বিশেষ রীতি মেনে পুজো করা হয়ে থাকে। পুজোর ভোগে থাকে নানা সুস্বাদু খাবার। দেওয়া হয় ৫৬ ভোগ। অনেকেই জানেন না, এদিন নৈবেদ্যের সাজিতে শসা নিবেদন করা হয়। কিন্তু কেন করা হয়, তা অনেকেই জানেন না। পুজোয় কেন শসা ব্যবহার করা হয়, তা জানুন আগে।
হিন্দুমতে, ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উত্সব অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়। জন্মাষ্টমীকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ থাকে। ঘরে ঘরে জন্মাষ্টমীতে পালন করা হয় বর্তমানে। এদিনের রয়েছে অনেক আচার-বিধি। পৌরাণিক কাহিনি মতে, রোহিণী নক্ষত্রে মধ্যরাতে শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। যার কারণে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর রাতে পুজো করার নিয়ম রয়েছে। বাল গোপালের জন্মের পর স্নান করানো হয়, তারপর নতুন পোশাক পরিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়।
শসা ছাড়া শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে ডাঁটাযুক্ত শসা। তাই কৃষ্ণের আরাধনায় শসা রাখা খুবই জরুরি। পুরাণ মতে এই শসাকে নাভির মতো মনে করা হয়। মাতৃগর্ভ থেকে বের হওয়ার পর শিশুকে যেমন নাভি থেকে আলাদা করা হয়, তেমনি ডাঁটাযুক্ত শসাও কাণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াটিকে নাভির ‘কর্ড’ ছিদ্র বলা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে লাড্ডু গোপালের জন্ম হয়েছে শসা থেকে। এ দিনে ভক্তরা লাড্ডু গোপালের কাছে শসা রাখেন। মধ্যরাতে ১২টায় ডাঁটা থেকে শসা আলাদা করার পর তা নিবেদন করা হয়। মুদ্রাগুলি ডালপালা ও শসা থেকে আলাদা করা হয়। এছাড়া পুজোর পর গর্ভবতী মহিলাদের কাটা শসা দিতে পারেন। পরে তা প্রসাদ হিসাবে ভক্তদের মধ্যে বিলি করে দিতে পারেন।