Kaushiki Amavasya 2022: আজ কতক্ষণ থাকবে কৌশিকী অমাবস্যার পুণ্যতিথি? এর মাহাত্ম্যই বা কী?

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Updated on: Aug 26, 2022 | 8:10 AM

Significance of Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনি। বেশিরভাগ কাহিনিতেই পরাক্রমশালী অসুর শম্ভু নিশুম্ভকে হ’ত্যা করার পৌরাণিক কাহিনির উল্লেখ রয়েছে।

Kaushiki Amavasya 2022: আজ কতক্ষণ থাকবে কৌশিকী অমাবস্যার পুণ্যতিথি? এর মাহাত্ম্যই বা কী?

Follow us on

বছরের অন্যান্য অমাবস্যার থেকে একদম আলাদা এই কৌশিকী অমাবস্যা। ভাদ্রমাসের এই অমাবস্যা তিথি তন্ত্রমতে ও শাস্ত্রমতে বিশেষভাবে গুরুত্ব রয়েছে। এই বিশেষ অমাবস্যায় অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনার মাধ্যমে আশাতীত সাফল্য পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন তিথিতে কালী বিভিন্ন রূপে পূজিত। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। কালী- দশমহাবিদ্যার মধ্যে প্রথম মহাবিদ্যা-শক্তি উপাসকরা যাকে আদ্যাশক্তি বলে উপাসনা করেন। কৌশিকি অমাবস্যার সঙ্গে তারাপীঠের অঙ্গাঅঙ্গিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই দিন তারাপীঠে ভক্তদের ঢল চোখের পড়ার মত হয়ে থাকে।

বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়। এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধিলাভ করেন। কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনি। বেশিরভাগ কাহিনিতেই পরাক্রমশালী অসুর শম্ভু নিশুম্ভকে হ’ত্যা করার পৌরাণিক কাহিনির উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও এই তিথিকে কেন্দ্র করে উঠে আসে তারা দেবীর একনিষ্ঠ সাধক বামাক্ষ্যাপার কাহিনি।

কৌশিকী অমাবস্যা কবে

এবছর কৌশিকী অমাবস্যা পড়েছে ২৬ অগস্ট। শেষ হবে ২৭ অগস্ট। পঞ্জিকা মতে কৌশিকী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে ২৬ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ১২ টা ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ড থেকে। পরের দিন শনিবার দুপুর ১টা ২৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড নাগাদ ছেড়ে যাচ্ছে এই বিশেষ অমাবস্যা।

পৌরাণিক কাহিনি

দেবী তারা হলেন দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কৌশিকী তারই আরেক রূপ। মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, এক সময় মহিষাসুরের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ট ছিলেন। তখনই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। কিন্তু এই শান্তি বেশিদিন থাকে না। শুম্ভ- নিশুম্ভের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। এরপর সকলে পার্বতীর স্মরণাপন্ন হলে, দেবতাদের রক্ষা করতে মা মহামায়া তাঁর ইচ্ছাশক্তি জাগ্রত করে, এক দেবীমূর্তির জন্ম দেন।

মাহাত্ম্য

দেবী কৌশিকীর চার হাত, দুই দক্ষিণ হাতে খট্বাঙ্গ ও চন্দ্রহাস আর দুই বাম হাতে চর্ম ও পাশ। গলায় নরমুন্ডু, দেহ ব্যাঘ্রচর্মে আবৃত। দীর্ঘদম্ভী, রক্তচক্ষু, বিস্তৃত মুখ ও স্থুল কর্ণ। কালীর বাহন মস্তক বিহীন শব (কবন্ধ)।

দেবী কৌশিকী অযোনিসম্ভবা ছিলেন, সেই কারণে কৌশিকী দেবীই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে দেবী কৌশিকীর শরীর থেকে হাজারও যোদ্ধৃ মাতৃকাকুল সৃষ্ট হয় এবং তারাই সমগ্র অসুরকুলকে বিনাশ করে। এই ঘটনাটি ভাদ্র অমাবস্যায় ঘটে। তাই পরবর্তীকালে এটি কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত হয়।

কথিত আছে ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্য়াপা এদিন তারা মায়ের আবির্ভাব পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। শোনা যায়, এই তিথিতে কৌশিকী রূপে মা তারা বিশেষ সন্ধিক্ষণে, শুম্ভ- নিশুম্ভ নামক অসুরদের দমন করেছিলেন। সেই নাম থেকেই ‘কৌশিকী অমাবস্যা’ নামটি এসেছে।

Latest News Updates

Related Stories
Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla