আমরা সবাই জানি যে গরুড় গায়ত্রী মন্ত্র একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মন্ত্র। এটি একটি সিদ্ধ মন্ত্র, যা পাঠ করলে একজন ব্যক্তি পাপমুক্ত হয়। এটি একটি সুখী জীবন বাড়ে এবং মন থেকে নেতিবাচকতা দূর করে। এই অপূর্ব গায়ত্রী মন্ত্রটি পাঠ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিংবদন্তি অনুসারে, ভেঙ্কটেশ নামে এক পণ্ডিত এই মন্ত্রটি রচনা করেছিলেন এবং গরুড় গায়ত্রী মন্ত্র জপ করেছিলেন। অলৌকিক গরুড় দেব ভগবান বিষ্ণুর সাথে সম্পর্কিত। তাকে সকল পাখির রাজা এবং ধর্মের রক্ষক মনে করা হয়। এটির চিত্রটি ঈগল এবং মানবদেহের মিশ্রণের মতো দেখায়। প্রাচীনকাল থেকেই তাদের পূজা করা হয়। এর সাথে হিন্দু ধর্মে তার গায়ত্রী মন্ত্রেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভয় ও দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য আমাদের ঋষিরা বহুকাল ধরে এর পূজা করে আসছেন।
মন্ত্রের অর্থ
“ওম তৎপুরুষ বিদ্যামহে সুবর্ণপাক্ষয় ধীমহে তন্নো গরুদারু প্রচোদয়াৎ।”
এই মন্ত্রের অর্থ নিম্নরূপ, আমি তোমাকে মহান সত্ত্বারূপে প্রণাম করি, ওহ! বিস্ময়কর এবং সোনালি ডানাওয়ালা পাখি, আমাকে উচ্চ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আশীর্বাদ করুন এবং আশীর্বাদ করুন এবং হে ভগবান গরুড় জি, আপনি আমার মনে আলো জ্বালিয়ে দিন। এভাবে শুভ বুদ্ধির কামনায় এই মন্ত্র জপ করা হয়। এই গরুড় গায়ত্রী মন্ত্রটি বলার সময়, পাঠ এবং শোনার সময়, মনে কোনও খারাপ চিন্তা আনা উচিত নয়।
গরুড় গায়ত্রী মন্ত্র কিভাবে পাঠ করবেন?
এই মন্ত্রটি পাঠ করার জন্য, আদিবাসীদের প্রথমে পবিত্র স্নান করতে হয়। এই পাঠের আগে পবিত্র নদীগুলিতে স্নান করা খুব ভাল বলে মনে করা হয়। শরীরের পাশাপাশি বৈদিক মন্ত্রের ব্যবহারে মনও পরিশুদ্ধ হয়। এর পরে, গুরুদ গায়ত্রী মন্ত্রটি সম্পূর্ণ ভক্তি এবং বিশ্বাসের সাথে পাঠ করা উচিত। এই পাঠ১০৮ বার করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। গরুড় দেব এবং ভগবান শ্রী বিষ্ণুর উপাসকরা এই পাঠটি ১০০৮ বার পাঠ করেন। এই পাঠটি করা খুবই কঠিন। তাই মনকে দৃঢ় করেই এমন সংকল্প নিতে হবে।
গরুড় গায়ত্রী মন্ত্রের উপকারিতা
এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মন্ত্র। এই সিদ্ধ মন্ত্রের উপকারিতার সম্পূর্ণ বর্ণনা শাস্ত্রে লেখা আছে। গরুড় গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে একজন সুখ ও সমৃদ্ধি পায়। এই মন্ত্র পাঠ করা অস্বাস্থ্যকর লোকদের জন্য খুবই ফলদায়ক। এতে রোগমুক্ত জীবন হয় এবং ভোগান্তি বিনষ্ট হয়। এই মন্ত্রটি পাঠ করার পরেও মনে মনে জপ করতে হবে। এই মন্ত্রটি পাঠ করলে গরুড় দেব খুব তাড়াতাড়ি প্রসন্ন হন। তার আশীর্বাদে মানুষ সাপের ভয় থেকে মুক্ত হয়। এই মন্ত্রটি বিষাক্ত সাপ এবং রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: Agni Gayatri Mantra: অগ্নি পবিত্রতার প্রতীক! যজ্ঞ করার সময় ‘ওম স্বাহা’ বলার কারণ কী, জানেন?