দু’দিন পরেই ছট শুরু পুজো। চারদিন ধরে চলা এই পুজোর অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বেশ গুরত্ব রয়েছে। প্রথম দিন স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ছট পুজোর। পরের দিন খরনা বা শুদ্ধিকরণ। সন্ধেবেলা প্রসাদ হিসাবে তৈরি করা হয়, গুড়ের ক্ষীর। সারা দিনের শেষে এই প্রসাদ খেয়েই উপোস ভাঙেন ব্রতপালনকারীরা। পরের দিন আবার অস্তগামী সূর্যকে দান করা হয় অর্ঘ্য। তারই সঙ্গে দান করা হয় ঠেকুয়া, কলা, মরশুমি ফল, আখ ইত্যাদি।
এই পুজোর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখানে কোনও রকম মূর্তি পুজো করা হয় না। বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় উপবাস করেন বাড়ির পুরুষেরাও। কিন্তু কেন করা হয় ছট পুজো? আসলে কে এই ছঠি মাইয়া? জানেন সেই ইতিহাস?
ছট উৎসব আসলে সূর্যদেবের ব্রত পালনের উৎসব। এই সময় পূজিত হন স্বয়ং সূর্য দেবই। শাস্ত্র মতে তাঁর মধ্যেই নিহিত থাকে প্রাণশক্তি। তাঁর ভীষণ তেজে ধ্বংস হয় রোগ জীবাণুও। সেই সূর্যদেবের কৃপায় পরিবারের লোকজনকে সুস্থ রাখতে করা হয় এই পুজো।
সূর্যদেবের সঙ্গে সঙ্গে পূজিতা হন ছঠি মাইয়াও। কেউ কেউ তাঁকে ছট লক্ষ্মীও বলেন। মতপার্থক্যে, ছঠি মাইয়াকে মা ষষ্ঠীর রূপ বা সূর্যদেবের বোনও মনে করা হয়। তাই পুজো করা হয় সূর্যদেবের। ষষ্ঠী পুজোর দিনে সন্ধ্যায় দান করা হয় সান্ধ্য অর্ঘ্য।
কথিত, রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয় করে ফিরে এসে পুজো করেন কুলদেবতা সূর্যের। সেই পুজো নাকি হয়েছিল ছট পুজোর সময়েই। কার্তিক শুক্লা চর্তুথী থেকে কার্তিক শুক্লা সপ্তমী অবধি চলে এই পুজো। এই ব্রতে রয়েছে টানা ৩৬ ঘণ্টা উপোসের উপাচারও। নারী পুরুষ নির্বিশেষে পালন করেন এই ব্রত।