রথের চাকা চলা মানেই বাঙালির উত্সব-পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাওয়া। কারণ রথ শেষ হওয়া মানেই আকাশে-বাতাসে পুজো পুজো গন্ধের আভাস পাওয়া শুরু হয়। তবে তার আগে আরও একটি বড় অনুষ্ঠান বা পর্ব থাকে, তা হল জন্মাষ্টমী।
জন্মাষ্টমী যা গোকূলষ্টোমী নামেও পরিচিত। হিন্দুদের একটি অন্যতম সেরা উত্সব বলা যেতে পারে। কারণ এই পুজো এখন একটি রাজ্যে বা এলাকায় আটকে নেই, এখন সারা ভারত ও বিদেশেও এই পার্বণ ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে। জন্মাষ্টমী বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রী কৃষ্ণের জন্মোত্সব পালন করা হয়। ইংরেজি ক্য়ালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই জনপ্রিয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি পালিত হয়ে থাকে। এই দিন সকল ভক্তরা উপবাস করে, মন্দিরে কৃষ্ণনাম করে, কৃষ্ণের জন্য নাচ-গান-অনুষ্ঠান করেন। বৈষ্ণবধর্মেক জন্য এই উত্সব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন কৃষ্ণের জন্য প্রসাদ ও খাবার তৈরি করে দুঃস্থদের মধ্যে বিলি করা, মন্দিরে মন্দিরে পুজা-অর্চনা করা হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২১ সালে কৃষ্ণজন্মাষ্টমী পড়েছে আগামী ৩০ অগস্ট। সোমবার পালিত হবে এই বিশেষ অনুষ্ঠান। উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারতে এই পুজো বিশেষভাবে পালিত হয়। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে এই পুজোর মাহাত্ম্য বেশি।
৩০ অগস্ট রাত ১১.৪৭ মিনিট থেকে ৩১ অগস্ট ১২.৩২ মিনিটে পালিত হবে নিশীথ পুজো। সেই সময় ৪৫ মিনিট সময় থাকবে পুজোর মন্ত্রপাঠের জন্য। মনে করা হয়, এই সময় শ্রীকৃষ্ণ বিষ্ণুর অষ্টম অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই ওই মুহূর্তে বিশেষ পুজাপাঠ করা হয়ে থাকে।
জন্মাষ্টমীর দিন ভক্তরা কৃষ্ণের মনপসন্দ সাদা মাখন, ক্ষীর বানান। মাখন, মিছরি, সন্দেশ, ক্ষীর, ঘি, মধু, গুড়, দুধ এইগুলি শ্রীকৃষ্ণের চরণে অর্পন করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে উৎসবের চেহারা নেয় মথুরা থেকে দ্বারকা, মায়াপুর। ঘরে ঘরে পালিত হয় পূজা। দেশের বহু জায়গাতেই জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে দহি-হান্ডির আয়োজন করা হয়। কৃষ্ণা জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্য়ে গোটা দিন একজন ভক্ত উপবাস রেখে, তারপর পূজা অর্পণ করেন। কৃষ্ণকে চন্দন, মধু, দুধে স্নান করিয়ে শুরু হয় কৃষ্ণা জন্মাষ্টমীর পূজা।
আরও পড়ুন: গীতার ১৮টি নামের মাহাত্ম্য কী জানেন? মনে উঁকি দেওয়া প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে