লাড্ডু গোপালের জন্ম হবে জয়ন্তী যোগে। এবারের জন্মাষ্টমী হবে ভক্তদের জন্য অত্যন্ত শুভ। তাই শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করলে সারা বছর ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে বৃষ রাশিতে জন্মগ্রহণ করেন। শ্রী কৃষ্ণের পূজা ভক্তদের সৌভাগ্য বয়ে আনবে। প্রতিটি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকবে। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপনের পাশাপাশি, মাতা দেবকী, লক্ষ্মী, বাসুদেব, বলদেব, নন্দ এবং যশোদাকেও ভগবান শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে পূজা করুন। সম্ভব হলে চাঁদেরও পূজা করা উচিত। শঙ্খের মধ্যে জল, ফল, সুগন্ধ, কুমকুম ও ঘ্রাণ রেখে ভগবানকে অভিষেক করুন।
একটি প্ল্যাসেন্টা সহ একটি শসা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করা উচিত। এটা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের খুব প্রিয়। এই দিনে ঈশ্বরকে গলায় শসা কাটতে হবে। জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকেই মনে মনে ভগবানের রূপ ধারণ করে উপবাস করুন। জন্মাষ্টমীর দিন ভগবান কৃষ্ণ বা শিব মন্দিরে গিয়ে পূজা করুন। দুর্গাজীর পূজা করতে হবে। জন্মাষ্টমীর দিন সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করতে হবে। জন্মাষ্টমীর দিন রাত ১০টা নাগাদ বিভিন্ন ধরনের ফল-ফুল ও পূজার উপকরণ দিয়ে পূজার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
কীভাবে লাড্ডু গোপাল পূজা করতে হয়
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মন্দিরে ‘হাতি ঘোড়া পালকি জয় কানহাইয়া লাল কি’ স্তোত্রের সুরেলা সুরের মধ্যে মানুষ জন্মাষ্টমীর উপবাসের প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে। এমন অবস্থায় বৈদিক মন্ত্রের প্রতিধ্বনিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হবে। সর্বত্র জপ হবে রাধে-রাধে নাম। জন্মাষ্টমীর দিন ভগবান শালিগ্রামের পূজার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সকালে পূজার জন্য ভগবান শালিগ্রামের দুধ, দই, ঘি, চিনি ও মধু মিশিয়ে পঞ্চামৃত তৈরি করা হয়। এতে তুলসী দিন। এরপর শালিগ্রাম ভগবানকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করুন। তারপর ১৬ ধরনের সম্পূর্ণ আচার দিয়ে ভগবানের পূজা করুন।