শহর কলকাতায় যে সব কালী মন্দিরে সারা বছর ভিড় করেন সাধারণ মানুষ, তাদের মধ্যে অন্যতম হল দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। সময়টা ১৮৫৪-৫৫। একদিন রাতে স্বপ্ন দেখলেন জানবাজারের মাড় বংশের পুত্রবধু। স্বপ্নে মা তাঁকে আদেশ দিলেন তাঁর জন্য একটি মন্দির নির্মাণের। এর পরেই রানিমার আদেশে শুরু হল তোড়জোড়। মায়ের আদেশ, তা কি আর অমান্য করা যায়?
গঙ্গার তীরে শুরু হল মন্দির নির্মাণের কাজ। মূর্তি নির্মাণের জন্য শুরু হল ভাস্করের খোঁজ। কাটোয়ার দাঁইহাটের বাসিন্দা নবীন ভাস্কর। শেষে তিনিই পেলেন মাকে গড়ার বরাত। বিহার থেকে এল বিশেষ কষ্টি পাথর। নবীন ভাস্কর সেই পাথর কেটে তৈরি করলেন মূর্তি।
মূর্তি গড়া শেষে রানিমা নিজে এলেন তা দেখতে। তবে মূর্তি পছন্দ হয়নি তাঁর। মূর্তিটা যেন আকারে একটু ছোট হয়েছে। ফের মূর্তি বানানো শুরু করলেন নবীন ভাস্কর। শেষ হলে খবর গেল রানিমার কাছে। এবারে দেখা গেল অন্য সমস্যা। গর্ভগৃহের মাপের তুলনায় একটু বড় হয়েছে সেই মাপ। অতএব, আবার শুরু হল মূর্তি নির্মাণের কাজ। এই বার মূর্তি মনে ধরল রানিমার। আজ দক্ষিণেশ্বরে যে মূর্তি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে সেটা সেই তৃতীয় মূর্তিটিই।
নবীন ভাস্কর যে বড় মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন তা এখন প্রতিষ্ঠিত রয়েছে হেদুয়ার গুহ বাড়িতে। দেবী এখাণে পরিচিত নিস্তারিণী কালী রূপে। ছোট মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে বরানগরের দে প্রামাণিক পরিবারে। দেবী এখানে পরিচিত ব্রহ্মময়ী কালী রূপে।