মার্চের শুরুতেই হবে এবার রঙিন উত্সব (Holi Celebration)। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় হোলি (Holi 2023)। সারা বছর এই রঙিন আবির নিয়ে উত্সবে মেতে থাকার আনন্দে সামিল হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন হিন্দুরা (Hindu Festival)। মনে করা হয় এই দিন কৃষ্ণের শহর অর্থাত ব্রজমণ্ডল থেকে শুরু করা হয়। সম্ভবত এই কারণেই দেশের প্রথম হোলি খেলা শুরু হয় এই কৃষ্ণের শহর থেকে।
হোলির উত্সব মানেই শুধু নানা রঙের খেলা নয়, ঈশ্বরের আরাধনা ও মাহাত্ম্যকে ঘিরেও। এই কারণেই শুধু হোলিকা দহন নয়, রঙের উত্সব শুরু হয় ভগবানের চরণ আবির দিয়ে। ছোটবেলায় বড়দের পায়ে আবির দিয়ে, ভগবানের পায়ে আবির দিয়ে তবেই রঙ খেলার অনুমতি পাওয়া যেত। সেই রীতি শুধু সংস্কৃতির জন্য নয়, হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্যও বটে। হোলির দিনে কোন দেবতাকে কোন রঙ দিয়ে নিবেদন করা উচিত, তা অনেকেরই অজানা।
সনাতন ঐতিহ্যে, যে কোনও শুভ কাজ শুরু হয় ভগবান শ্রীগণেশের পুজো দিয়ে। সেই মতো গণেশকেও প্রথমে আবির গিয়ে হোলি উদযাপন করা উচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, সিঁদুর হল গণপতির খুব প্রিয়। তাই হোলির দিন গণেশ পুজোয় সিঁদুর বা কমলা রঙ ব্যবহার করুন। হোলির দিনে পুজোয় গণপতিকে প্রিয় মোদক বা মিষ্টি ভোগ নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন।
বৈষ্ণব তে, শ্রীহরি বা বিষ্ণুর ভক্ত হোন তাহলে ভগবান রাম, কৃষ্ণ বা নরসিংহের পুজো করেন তাহলে হোলির দিন দেবতাদের পছন্দের হলুদ রঙের আবির দিয়ে বিশেষ পুজো করে থাকতে পারেন। একইভাবে এদিন দেবতাদের আরাধনায় ভোগ হলুদ রঙের মিষ্টি ও ফল নিবেদন করা উচিত। এছাড়া বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পুজোয় হলুদ রঙের আবির নিবেদন করতে পারেন।
শিবের ভক্তদের জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট রঙ। হোলির শুরুতে যদি ভোলেনাথকে রঙ দিয়ে পুজো করতে চান তাহলে অবশ্যই লাল বা নীল রঙ ব্যবহার করতে পারেন। বিশ্বাস করা হয়, হোলির দিনে এই রঙ মেনে চললে ভোলেনাথের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সুখের বৃষ্টি বর্ষিত হয়।
সনাতন ধর্ম মতে, শক্তির পুজোয় লাল রঙের কাপড়, ফুল ও রঙ বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। এর সঙ্গে লাল রঙ ভগবান হনুমানজির সঙ্গেও সম্পর্কিত। এইভাবে, হোলিতে কালী বা হনুমানজির বন্দনা করার সময় অবশ্যই লাল রঙের আবির বা রঙ নিবেদন করুন। বিশ্বাস করা হয়, হোলিতে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী ও হনুমানজিকে লাল রঙের নিবেদন করলে আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। এমনকি সুখ ও সৌভাগ্যও বর্ষিত হয়।