একে শ্রাবণ মাস, আবার তার উপর শনিবার। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ উপবাস পরমা একাদশী উপবাস পালিত হবে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার। এই উপবাসটি অন্যান্য একাদশী উপবাস থেকে ভিন্ন। কারণ এই একাদশী ব্রত উপবাস পালিত হয় তিন বছরে একবার। তাই এই উপবাস পালনের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও উপকারিতা। রয়েছে পুজোর পদ্ধতিও। মলমাসে যে একাদশী পালন করা হয়, তাকে পরমা একাদশী বলা হয়ে থাকে। প্রায় ১৯ বছর পর পালিত হচ্ছে এই বিরল পরমা একাদশী। ক্যালেন্ডার অনুসারে, মলমাসের কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে পালিত হয় এই বিশেষ একাদশী ব্রত-উপবাস। পালিত হবে ১২ অগস্ট।
হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, ১২ অগস্ট মলমাসের একাদশী উপবাস পালিত হতে চলেছে। প্রতি তিন বছর পর পর এই তিথি আসে। এই বছর অধীকামাস শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই থেকে। মলমাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী পালন করা হয় বলে পরমা একাদশী। একে অধীকমাস একাদশীও বলা হয়। এবার একাদশী উপোস পালিত হবে শ্রাবণ শনিবার।
হিন্দু মতে, পরমা একাদশীর উপবাস পালন করলে অর্থ সমস্যা দূর হয় ও ভক্তরা সকল দুঃখ-বেদনা থেকে মুক্তি পান। এ দিন উপবাস পালন করলে তা অত্যন্ত ফল পেতে পারেন ভক্তরা। তবে কোনও কারণে উপবাস রাখতে না পারলে পরমা একাদশীর কাহিনি শুনলে ভক্তদের দারিদ্র্য ও আর্থিক সঙ্কট দূর হয়।
পুজোবিধি
পরমা একাদশীর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নানের পর পূর্ণ পদ্ধতিতে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন।
তারপর নির্জলা ব্রতের সংকল্প নিয়ে বিষ্ণুপুরাণ পাঠ করুন।
রাতে শ্রী হরি ও মহাদেবের পুজো করুন।
প্রথম পর্বে নারকেল, দ্বিতীয় পর্বে লতা ও তৃতীয় পর্বে আতা ও চতুর্থ পর্বে কমলা ও সুপারি ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নিবেদন করুন।
পুজোর পর উপবাস ভঙ্গ করতে পারেন।
এই উপবাস পালন করলে সব রকম আর্থিক সমস্যার অবসান হয় ও ঘরে সুখ- সমৃদ্ধি বজায় থাকে।