Pitru Paksha 2023: গয়াতেই পিণ্ডদান করা হয় কেন? আসল কারণ জানেন না অনেকেই
Shraddha in Gaya: স্বাভাবিকভাবেই হোক বা অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হোক, আত্মার শান্তি ও মুক্তি দিতে গয়ায় পিণ্ডদান করলে পরিবারের সকলের মঙ্গল হয়, তা বিশ্বাস করেন হিন্দুরা। হিন্দুপুরাণ মতে, জীবিতের পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বসবাস করেন। এই পরলোক স্বর্গ ও মর্ত্যের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করে।

মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার সেরা স্থানগুলির মধ্যে গয়া হল অন্যতম। সনাতন ধর্মে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার জন্য পিণ্ডদান করতে গয়ায় যান হিন্দুরা। পারলৌকিক ক্রিয়াভূমি বলতে গয়াকেই বোঝানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই হোক বা অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হোক, আত্মার শান্তি ও মুক্তি দিতে গয়ায় পিণ্ডদান করলে পরিবারের সকলের মঙ্গল হয়, তা বিশ্বাস করেন হিন্দুরা। হিন্দুপুরাণ মতে, জীবিতের পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বসবাস করেন। এই পরলোক স্বর্গ ও মর্ত্যের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করে। আর এই স্থানের দেবতা হলেন যমরাজ। কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে মর্ত্য থেকে পিতৃলোকে নিয়ে যান যমরাজ। এরপর যদি ওই ব্যক্তির পরবর্তী প্রজন্মের একজনের মৃত্যু হলে পূর্ববর্তী প্রজন্মের একজন পিত-লোক ছেড়ে স্বর্গবাস করেন। আত্মা পরমাত্মায় লীন হয়ে যায়। শ্রাদ্ধ বা তর্পণের মাধ্যমে এই গোটা প্রক্রিয়ার শ্রেষ্ঠ সময় হল এই পিতৃপক্ষ।
হিন্দু বহু শাস্ত্র ও পুরাণে তর্পণ ও পিণ্ডদানের উল্লেখ রয়েছে। গয়ারও উল্লেখ রয়েছে বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থে। রামায়ণ ও মহাভারতেও গয়ায় পিণ্ডদানের ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। মহাভারতে গয়াকে গয়াপুরী নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেতেই হয়তো জানেন না উত্তরপ্রদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম কেন গয়াপুরী বা গয়া হয়েছে, তা অনেকেই জানেন না। আসলে গয়াসুর নামে এক অসুরের আত্মত্যাগের কাহিনিকে মাহাত্ম্য দিতেই এই এলাকার নাম গয়াপুরী। বায়ুপুরাণে উল্লেখ রয়েছে, গয়াসুর ছিলেন একজন পরাক্রমশালী ও বলশালী এক অসুর। বিশালাকার তাঁর শরীর। অসুর হলেও তিনি ছিলেন বিষ্ণুর পরম ভক্ত। বলা হয়, গয়াসুর হলেন স্বয়ং ব্রহ্মার সৃষ্টি। এই কারণেই তাঁর কোনও অসুরাচিত আচরণ ছিল না। ছিল না কোনও জাগতিক মা-বাবাও। একবার বিষ্ণুর কাছে তিনি বর হিসেবে প্রার্থনা করেছিলেন যে, তাঁর দেহ কীট, পতঙ্গ, ঋষি, পাপী, মুনি, ভূতজ-প্রেত, সকলেই পবিত্র হয়ে মুক্তিলাভ করেন। সেই প্রার্থনা মঞ্জুর করে তিনি বলেছিলেন গয়ায় গিয়ে পিণ্ডদান করতে, তাতে আত্মার মুক্তি মিলবে।
