Vaishakh Purnima 2023: ১৩০ বছর পর একই দিনে চন্দ্রগ্রহণ ও বৈশাখ পূর্ণিমা! অতি বিরল যোগে এই কাজ করলেই বাড়বে সুখ-সমৃদ্ধি
Buddha Purnima 2023: অতি বিরল যোগের কারণে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে স্নান, দান, পুজো ইত্যাদির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি চন্দ্রগ্রহণের কারণে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে স্নান ও দান করার সঠিক সময় নিয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বৈশাখ পূর্ণিমা পালিত হয়। ভগবান বুদ্ধের জন্মবার্ষিকীও পালিত হবে একই দিনে।এবার বৈশাখ পূর্ণিমা পালিত হবে ৫ মে। এই দিনে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও হতে চলেছে। দীর্ঘ ১৩০ বছর পর এমন কাকতালীয় ও অতি দুর্লভ ঘটনা ঘটতে চলেছে, যেখানে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনেও চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। অতি বিরল যোগের কারণে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে স্নান, দান, পুজো ইত্যাদির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি চন্দ্রগ্রহণের কারণে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে স্নান ও দান করার সঠিক সময় নিয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
তিথি ও মুহূর্ত
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, বৈশাখ পূর্ণিমা তিথি ৪ মে রাত ১১.৩৪ মিনিটে শুরু হবে ও পরের দিন ৫ মে রাত ১১.০৩ মিনিটে শেষ হবে। বৈশাখ পূর্ণিমা ব্রতের সময় চাঁদের পুজো করা হয়, তাই চাঁদের উত্থানের ভিত্তিতে পূর্ণিমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেই অনুযায়ী বৈশাখ পূর্ণিমার চন্দ্রোদয় হচ্ছে ৫ মে, তাই বৈশাখ পূর্ণিমাও পালিত হবে ৫ মে।
স্নান-দান ও পূজা মুহূর্ত
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে চন্দ্রগ্রহণের কারণে স্নান ও রক্তদানের শুভ সময় নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তাই এর সূতক সময়কাল বৈধ হবে না। তাই চন্দ্রগ্রহণের কারণে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে স্নান-দান, পূজা প্রভৃতির শুভ সময়ে কোনও প্রভাব পড়বে না।
পঞ্চাঙ্গ মতে, বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে ৫ মে ভোরে সূর্যোদয়ের পর থেকে স্নান ও দানের শুভ সময় শুরু হবে। একই সময়ে সন্ধ্যে ৫টা ৫৮ মিনিট থেকে চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদনের সময় শুরু হবে। এবার বৈশাখ পূর্ণিমায় চন্দ্রোদয়ের সময় ৫.৫৮ মিনিট। একই সময়ে, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে ৮টা ৪৫ মিনিটে বৈশাখ পূর্ণিমার রাতে 5 মে ও শেষ হবে মধ্যরাত ১টা পর্যন্ত। এবারের চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়কাল হবে ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
শুভ যোগ ও ভাদ্র
বৈশাখ পূর্ণিমার সকাল থেকে রাত ৯টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধি যোগ থাকবে। এরপরে ব্যাতিপাত যোগ তৈরি হতে চলেছে। সিদ্ধি যোগ শুভ কাজের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে স্বাতী ও বিশাখা নক্ষত্রের অবস্থান রয়েছে, তাই ধর্মীয় জ্যোতিষশাস্ত্রে এই পরিস্থিতিকেও শুভ বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, বৈশাখ পূর্ণিমায় ভাদ্র কাল বিকেল ৫টা ১ মিনিট থেকে ১১টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত হবে। কিন্তু পটল লোকে এই ভাদ্রের অধিবাসের কারণে পৃথিবীতে এর প্রভাব বিবেচিত হবে না ও শুভকাজে কোনও বাধা থাকে না।
তাৎপর্য
হিন্দু ধর্ম মতে বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। বৈশাখ পূর্ণিমা সোমবারে পড়ার কারণে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে বিশেষ ফল পাওয়া যাবে। ১৬ মে সংঘটিত চন্দ্রগ্রহণের পুজোকেও বিশেষ গুরুত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যারা বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী তারা অত্যন্ত উৎসাহের সাথে ভগবান বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন। এই দিনে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা স্থানান্তরিত হয়। যারা বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী তারা বলেন, এই দিনে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা গ্রহণ করলে মানুষের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট লাঘব হয়। তার মন পবিত্র হয়। বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে দান ও উপবাসেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।