পিতৃপক্ষের অবসান হতে আর কয়েকটা দিন বাকি। পিতৃপক্ষের অবসান মানেই মাতৃপক্ষের সূচনা, আর তার সঙ্গেই শুরু পুজোর। তবে মাতৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্গেই পিতৃপক্ষও কিন্তু বাঙালিদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। পিতৃপক্ষ কালের শেষ দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণের রীতিও প্রচলিত রয়েছে। আবার পূর্বপুরুষের কোনও পিতৃ দোষ থাকলেও এই এক পক্ষকাল তা দূর করার সবচেয়ে ভাল সময়। পূর্বপুরুষের কোনও দোষ থাকলে তার প্রভাব পড়ে উত্তমপুরুষের ওপরেও। ব্যবসা, কর্মক্ষেত্র, ব্যাক্তিগত জীবনেও সেই দোষের কুপ্রভাব পড়তে পারে।
তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সেই দোষ কাটানো সম্ভব। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি অবধি, এক পক্ষকাল পিতৃপক্ষের এই সময় দোষ কাটানোর সব থেকে ভাল সময়। কিন্তু দোষ কাটাবো বললেই তো আর হল না। তার জন্য এই সময় কিছু নিয়ম মেনে চলাও জরুরি। কোন উপাচার পালন করলে কাটবে দোষ? জেনে নিন।
১। পিতৃপক্ষের সময়, প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ির দক্ষিণ দিকে একটি তেলের প্রদীপ জ্বালান। সাধারণ দিনেও এই কাজ করা যেতে পারে। এতে পিতৃ দোষ দূর হয়।
২। পিতৃ দোষ দূর করতে, বাড়ির দক্ষিণ দেওয়ালে আপনার পূর্বপুরুষদের একটি ছবি রাখুন এবং ছবির সামনে প্রদীপ, ধূপ জ্বালান। বিশেষ করে শ্রাদ্ধপক্ষের সময় এটি করলে বিশেষ উপকার পাবেন।
৩। পূর্বপুরুষদের শান্তির জন্য প্রতিদিন দুপুরে অশ্বত্থ গাছের পুজো করতে পারেন।
৪। পিতৃপুরুষদের প্রসন্ন করতে, কালো তিল, দুধ, গোটা চাল গঙ্গা জলে বা গঙ্গার জলে ফুল সমেত অর্পণ করতে পারলে ভাল।
৫। পিতৃদোষ থেকে পরিত্রাণ পেতে, পিতৃপক্ষে এবং অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের অন্ন অর্পণ করুন এবং পিতৃ স্তোত্র পাঠ করুন।
৬। পিতৃদোষ দূর করার জন্য, পিতৃপক্ষের সময় প্রতিদিন ভগবান শিবের পুজো করতে পারেন।
৭। পিতৃদোষের অশুভ প্রভাব এড়াতে পঞ্চমুখী, সাত মুখী, আট মুখী ও বারো মুখী রুদ্রাক্ষ একসঙ্গে পরুন। না পেলে নবগ্রহ রুদ্রাক্ষ মালাও পরতে পারেন।